দিল্লিতে বাংলাদেশি সন্দেহে নির্যাতন চলছে বাঙালিদের ওপর, রাজনাথকে চিঠি দিলেন অধীর
কাজের খোঁজে দিল্লি ও লাগোয়া এলাকাগুলিতে যান পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদার মতো জেলা থেকে ভিনরাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। দিল্লি ও লাগোয়া এলাকায় মূলত নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত এই শ্রমিকরা। এছাড়া ছোট দোকান বা রিক্সাও চালান অনেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশি সন্দেহে দিল্লি ও লাগোয়া এলাকায় বাঙালিদের হয়রান করছে পুলিস। কাজের খোঁজে ভিনরাজ্যে গিয়ে হেনস্থা হতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠি দিয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
অধীরের অভিযোগ, দিল্লি ও লাগোয়া এলাকায় বাংলাদেশি সন্দেহে বাঙালিদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিস। তাদের আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যা এক কথায় বেআইনি। অধীর জানিয়েছেন, হয়রানির শিকার অনেকেই তাঁর সংসদীয় এলাকা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। অবিলম্বে বাঙালিদের ওপর এই নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ।
বলে রাখি, কাজের খোঁজে দিল্লি ও লাগোয়া এলাকাগুলিতে যান পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদার মতো জেলা থেকে ভিনরাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। দিল্লি ও লাগোয়া এলাকায় মূলত নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত এই শ্রমিকরা। এছাড়া ছোট দোকান বা রিক্সাও চালান অনেকে। মহিলারা বিভিন্ন আবাসনে পরিচারিকার কাজ করেন। দিল্লি লাগোয়া নয়েডা, গাজিয়াবাদ বা বৈশালির মতো এলাকায় ছোট ঘর বানিয়ে থাকেন এই প্রবাসী বাঙালিরা।
অবশেষে উঁকি দিলেন সূয্যিমামা, দেখে নিন ফের কবে হতে পারে বৃষ্টি
গত বছর জুলাইতে নয়েডার মহাগুণ মডার্ন সোসাইটিতে এক বাঙালি পরিচারিকাকে আটকে রাখার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। নয়েডার সেক্টর ৭৮-এ ওই আবাসনের গেটে ইঁটবৃষ্টি করেন এলাকায় বসবাসকারী অন্যান্য বাঙালিরা। এর পরই নয়েডার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাঙালি পরিচারিকা নিষিদ্ধ হয়। কাজ হারান বহু মানুষ। অভিযোগ, অসমে NRC-র খসড়া তালিকা প্রকাশের পর ফের শুরু হয়েছে সেই অত্যাচার।