নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির হাত থেকে হরিয়ানা ছিনিয়ে নিতে মাঠে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা। তাঁর কথায়,''এটা বিজেপি বিরোধী জনাদেশ। বিরোধীদের একত্রিত করে সরকার গঠন করব।'' শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হরিয়ানায় বিজেপি এগিয়ে ৩৭টি আসনে। ৩৩টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস।         


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় বিজেপির লক্ষ্য ছিল 'মিশন ৭৫'। কিন্তু কোথায় কী? লক্ষ্য তো দূর, সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পাচ্ছে না তারা। তারা বৃহত্তম দল হলেও হরিয়ানার ফলাফল বিজেপি নেতৃত্বের কপালে ফেলেছে ভাঁজ। রাজ্যের ৮ মন্ত্রীই পিছিয়ে পড়েছেন ভোটের ফলাফলে। সাংবাদিক বৈঠকে ভূপেন্দ্র সিং হুডা বলেন,''হরিয়ানার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা বিজেপিবিরোধী জনাদেশ।'' জেজেপি-র দুষ্মন্ত চৌটালাকে উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। এনিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি হুডা। শুধু বলেছেন, ''বিরোধীদের একসঙ্গে নিয়ে সরকার গড়ব। মানসম্মান দেব। আমরা সঙ্গে থাকব। বিজেপি প্রতিবার শরিকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। নির্দল, জেজেপি, আইএনএলডি-র সমর্থন চাইছি।'' 



হরিয়ানার জনাদেশে স্পষ্ট, ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় কিংমেকার হতে চলেছেন দুষ্মন্ত চৌটালা। গত ডিসেম্বরে আইএনএলডি ছেড়ে জেজেপি গঠন করেন তিনি। ১০ মাসেই হয়ে উঠলেন কিংমেকার। সেটা বুঝেই নিজের শক্তি বাড়াচ্ছেন দুষ্মন্ত। ৩ নির্দল বিধায়ককে পাশে পেয়ে গিয়েছেন বলে খবর।



দুষ্মন্তকে নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে দড়ি টানাটানি চলবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কোন দিকে তিনি যাবেন, তা খোলসা করেননি দুষ্মন্ত।


হরিয়ানায় হতশ্রী ফলের জেরে ইস্তফা দিয়েছেন সে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি। মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে তড়িঘড়ি দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন অমিত শাহ। আগামীতে কী কৌশল নেওয়া হবে, সেটা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। হাত গুটিয়ে নেই কংগ্রেসও। কংগ্রেসের অফিসেও সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হয়ে গিয়েছে বৈঠক। 


আরও পড়ুন- হরিয়ানায় কংগ্রেস-বিজেপির লড়াইয়ে ক্ষীর খেয়ে যেতে পারে ১০ মাসের দল JJP