নিজস্ব প্রতিবেদন: বড় শরিককে চাপ দিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার সোনার সুযোগ ছাড়তে নারাজ শিবসেনা। সকাল থেকে শিবসৈনিকদের মতিগতিতে ইঙ্গিত মিলছিল, বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে সেটাই খোলসা করে দিলেন উদ্ধব ঠাকরে। জানিয়ে দিলেন, 'অমিত শাহ আমার বাড়িতে এসেছিলেন। ক্ষমতার ভাগ ৫০-৫০ থাকবে বলে সমঝোতা হয়েছিল। সেই সমঝোতা মানতে হবে বিজেপিকে।' এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও যে শিবসেনা ঠিক করবে, সেটাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন উদ্ধব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি আসনের সমঝোতায় ১২৬টি আসনে লড়াই করেছে শিবসেনা। বিজেপি লড়াই করেছে ১৫০ আসনে। গতবার শিবসেনা-বিজেপি আলাদা লড়াই করেছিল। ২০১৪ সালে ২৬০টি আসনে লড়াই করে বিজেপি পেয়েছিল ১২২টি আসন। ২৮২ আসনে লড়ে শিবসেনার ঝুলিতে গিয়েছিল ৬৩টি। কিন্তু এবার ১০০ পার করতে পারল না বিজেপি। শিবসেনা এগিয়ে ৫৮টি আসনে। ফলে বিজেপির একার পক্ষে সরকার গঠন অসম্ভব। এমন প্রেক্ষাপটে দরাদরি করতে চাইছে বিজেপি। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি জানাতে চলেছে শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রী না হলেও উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন উদ্ধবপুত্র আদিত্য ঠাকরে।



উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন,'৫০-৫০ ফরমুলায় সমঝোতার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আলোচনা হওয়া উচিত। আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন। দরকারে মহারাষ্ট্রে আসবেন অমিত শাহ। এখানকার নেতাদের সঙ্গে কোনও কথা বলব না।' বলে রাখি, ওয়ারলি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন উদ্ধবপুত্র। 



তবে সহজে মুখ্যমন্ত্রীর পদ শিবসেনাকে ছেড়ে দেবে না বিজেপি। সেটা ভালো করে জানেন উদ্ধব ঠাকরে। দর কষাকষির রাজনীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের দিকেই চোখ শিবসেনার। বিজেপি অবশ্য শরিককে নিয়ে বেশ সংযত মন্তব্য করেছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, ''শিবসেনা ও বিজেপির মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটা সময় আসলেই জানতে পারবেন।'' 


 



সূত্রের খবর, বিজেপিকে আটকাতে শিবসেনাকে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে এনসিপি-কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রেও বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে বাইরে রাখা যাবে।  


আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা ধরে রাখল গেরুয়া শিবির, হরিয়ানায় টলমল বিজেপির গদি