নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের মুখে লালু প্রসাদ যাদবের জামিনের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআইয়ের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, জামিন পেলে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন তিনি। হলফনামা দিয়ে সিবিআইয়ের অভিযোগ, শারীরিক পরিস্থিতির কথা বলে আদালতকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছেন তিনি। দলের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে কাজ করতে পারেন তিনি। যদিও লালুর আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতকে জানান, ১৪ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে। রাজনীতির ময়দানে দৌড়ানোর ক্ষমতা নেই লালুর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


যুক্তি যাই দেওয়া হোক্ না কেন, সিব্বলের আর্জিতে কর্ণপাত করেনি প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বলেন, তাঁর শাস্তি ২৫ বছর না ১৪ বছর, তা হাইকোর্ট নির্ধারণ করবে। আমরা শুধু রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টকে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিতে পারি। পাশাপাশি আদালতের টিপ্পনি, উনি তো সবে ২৪ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেছেন। লালুকে জামিন দিলে কী ক্ষতি হতে পারে আদালতে প্রশ্ন তোলেন কপিল সিব্বল। আদালতের তত্পর উত্তর, আপনি দোষীসাব্যস্ত এটা ছাড়া আর কোনোও বিপদ নেই। তবে, আপনার জামিন মঞ্জুর আমরা করতে পারব না।


সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ ছিল, হাসপাতালের বিশেষ ওয়ার্ডে শুয়েই দলের হয়ে নির্বাচন পরিচালনার কাজ করছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, পশুখাদ্য কেলঙ্কারির একাধিক মামলায় দোষীসাব্যস্ত হন লালু প্রসাদ যাদব। ২০১৭ সালে দুমকা ট্রেজারি মামলায় তাঁকে ১৪ বছরের কারদণ্ড দেয় আদালত। কিন্তু বেশির ভাগ সময়েই হাসপাতালে শুয়ে বা কখনও বা প্যারোলে মুক্ত থেকেছেন। ১৯৯০ সালে অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বিপুল টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে লালুর বিরুদ্ধে।


আরও  পড়ুন- ‘ছয় মাস হয়নি মধ্য প্রদেশের সরকার, এর মধ্যেই শুরু দুর্নীতি’ জুনাগড় থেকে কংগ্রেসকে তুলোধনা মোদীর


উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালের পর এই প্রথম দলের হয়ে প্রচারে থাকছেন না লালু প্রসাদ যাদব। এখনও তিনি আরজেডি-র প্রধান মুখ। তাঁর ভাবমূর্তি এবং জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন তেজস্বrী যাদবরা। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভোটে লড়ার নয়া নিয়ম অনুযায়ী, ২০১৪-র লোকসভা এবং ২০১৫-র নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়নি লালু প্রসাদের। এ বার নির্বাচনী প্রচারেও তাঁকে দেখা যাবে না। বলাই যায়, সুপ্রিম কোর্টের এ দিনের নির্দেশে কার্যত ধাক্কা খেল তেজস্বীর আরজেডি-ও।