জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হিমাচলের চন্দ্রতালে আটকে পড়া প্রায় আড়াইশো পর্যটকদের দুরবস্থায় উদ্বিগ্ন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। আজ, বুধবার তিনি একটি ট্যুইট করে পরিবেশের প্রতিকূলতার জন্য উদ্ধারকার্যের অপরাগতার কথা বলে আশা প্রকাশ করেছেন, আবহাওয়া-পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটবে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ভয়ংকর স্রোতের প্লাবনে শিউরে উঠছে জনপদ! ফুঁসছে নদী, বইছে কাদাস্রোত, বাড়ছে মৃত্যু...


হিমাচলের চন্দ্রতাল-- উচ্চতম পার্বত্য পরিবেশে অবস্থিত চন্দ্রাকৃতি এক সরোবর, স্বর্গীয় তার পরিবেশ। দেবযোগ্য এই সরোবরের চারিদিকে হিমালয়ের অপূর্ব শৃঙ্গশোভা। ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। শুধু গ্রীষ্মেই যাওয়া যায় এখানে। শীতে লেকের জল-সহ সমস্ত এলাকা তুষারাবৃত থাকে।


অথচ, দুর্গম হলেও অতুলনীয় প্রাকৃতিক শোভার কারণে মানুষ বারবার এখানে পৌঁছন। এই অঞ্চলের অপূর্ব প্রকৃতির ডাকে সাড়া না দিয়ে পারেন না মানুষ। এখন তাই আর শুধু গ্রীষ্মে নয়, অ্যাডভেঞ্চারের লোভে মানুষ বর্ষার দিকেও সেখানে যান, যেতে চেষ্টা করেন শীতেও। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে সেখানে ঘটে নানা বিপত্তি। এ বছরেও ঘটেছে। পর্যটকেরা আটকে পড়েছেন। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় তাঁদের উদ্ধারে সংকট হয়েছে। চন্দ্রতালে এখনও আটকে পড়ে আছেন বহু পর্যটক। তাঁদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী একটি ট্যুইটও করেছেন।
 
এর আগে স্পিতি থেকে মানালি যাওয়ার পথে ৩০ জন কলেজপড়ুয়া আটকে পড়েছিলেন। হড়পা বানে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এবং ধস নামায় তাঁরা আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের অবশ্য পরে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। 


কিন্তু বর্ষা গড়াতেই গোটা হিমাচল প্রদেশই প্রায় অগম্য হয়ে পড়ে। শতদ্রু, বিপাশা ও যমুনার জল হুহু করে বেড়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি, নদীর জল উপচে ওঠা, বন্যা, হড়পা বান, ধস-- সব মিলিয়ে হিমাচলের পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়ে পড়েছে। কাজা-গ্রাম্ফু সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়েছে। কদিন আগে ধস নেমে সিমলায় তিনটি পরিবারের সদস্যের মৃত্যু ঘটেছে। যে-ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী। ভারী বৃষ্টির জেরে তিনি ইতিমধ্যেই জুলাই ১০ ও ১১ স্কুল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছেন।


আরও পড়ুন: Tomato Prices: 'ভিআইপি' নয়, বাউন্সার আনা হল টমেটোর নিরাপত্তার জন্য!


আজ, ১২ জুলাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সুকু এ সংক্রান্ত একটি ট্যুইট করে বলেছেন-- আকাশ থেকে লাহুলের চন্দ্রতাল সরোবরের এলাকা জরিপ করে দেখা গিয়েছে অন্তত ২৫০ জন পর্যটক সেখানে আটকে পড়েছেন। রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন আকাশপথে পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জেরে সেটা করাও সম্ভব হয়নি। তিনি লিখেছেন-- আমি আশা করছি শীঘ্রই আবহাওয়ার উন্নতি হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)