আমার অভিশাপেই জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন হেমন্ত কারকারে : সাধ্বী প্রজ্ঞা
২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণেই অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা। তিনি এখন জামিনে মুক্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রার্থী হওয়ার পর কর্মীদের সামনে পুলিসি অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বিজেপির প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। তার ২৪ ঘণ্টার একই ইস্যু নিয়ে সরব হতে গিয়ে বিতর্ক বাঁধিয়ে বসলেন ভোপাল লোকসভা আসনে কংগ্রেসের দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের এই প্রতিপক্ষ।
মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার শহিদ মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের প্রধান হেমন্ত কারকারে সম্বন্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। তাঁর অভিযোগ, তাঁর উপর পুলিসি অত্যাচারের নেতৃত্বে ছিলেন হেমন্ত। তাঁকে দিয়ে জোর করে মালেগাঁও বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আমি হিন্দু, আমার ধর্মকর্মের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না : যোগী আদিত্যনাথ
প্রজ্ঞার দাবি, তিনি তখনই হেমন্তকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। সেই কারণেই মুম্বই হামলার সময় হেমন্ত নিহত হয় বলে দাবি করেছেন বিজেপির প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণেই অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা। তিনি এখন জামিনে মুক্ত। তবে তাঁর বিরুদ্ধে মকোকা আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে এনআইএ। সপ্তাহখানেক আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তার পরই ভোপাল থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রথমবার একমঞ্চে হাজির হয়ে মায়াবতীর জন্য শ্রদ্ধার বার্তার মুলায়মের
তাঁর নাম ঘোষণার পর থেকেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত একজনকে বিজেপি কীভাবে প্রার্থী করে? যদিও সন্ত্রাসের অভিযোগ মানতে নারাজ প্রজ্ঞা। তাঁকে জোর করে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
তাই গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিসি অত্যাচারের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দাবি করেছিলেন, জেলে তাঁকে টানা ২৪ দিন মারধর করা হয়। তাঁকে জল ছাড়া আর কিছুই খেতে দেওয়া হয়নি। মারধরের সময় গালিগালাজ করা হত। বেল্ট দিয়ে মারা হত। উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হত। পোশাক খুলে নিয়ে হুমকি দেওয়া হত।
তাঁর দাবি, শুধু মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হত না। মারের জেরে তাঁর সারা শরীরে দাগ হয়ে যেত রক্ত বেরোত। তখন নুন জল গরম করে এনে তাতে হাত ডুবিয়ে দেওয়া হত। কিছুক্ষণ পর ফের মারধর করা হত।
এভাবে মারধরের জেরে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন। এমন অবস্থা হয়েছিল যে তিনি হাসপাতালের বেডে এপাশ-ওপাশও করতে পারতেন না বলে দাবি করেছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা।
আরও পড়ুন: হিন্দুত্বকে টার্গেট করতেই আমার উপর অত্যাচার চালানো হয়, দাবি সাধ্বী প্রজ্ঞার
বৃহস্পতিবারের বিবৃতির পর কোনও বিতর্ক হয়নি। তবে শুক্রবার সাধ্বীর মন্তব্যের পর বিতর্ক চরমে উঠেছে। জল গড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত।