হার্ড ইমিউনিটি বিকল্প নয়! দেশে দৈনিক ১০ লক্ষ করোনা পরীক্ষা হবে, ঘোষণা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে দেশে করোনা প্রতিষেধকের বিকল্প কখনই `হার্ড ইমিউনিটি` হতে পারে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশে এখন দৈনিক করোনা পরীক্ষা হয় গড়ে ৫ লক্ষ। কিন্তু ১ বা ২ মাসের মধ্যে দেশে দৈনিক দ্বিগুণ অর্থাৎ ১০ লক্ষ করোনা পরীক্ষা হবে। বৃহস্পতিবার একথাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে দেশে করোনা প্রতিষেধকের বিকল্প কখনই "হার্ড ইমিউনিটি" হতে পারে না।
যদি কোনও অঞ্চলে একটা বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাহলে করোনার বিরুদ্ধে তাঁদের শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। ফলে ওই অঞ্চলে ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষা বলয় প্রস্তু হবে। যার ফলে ওই অঞ্চলের লোকজনের সংক্রমণ থেমে যাবে। এক্ষেত্রেই বলা চলে যে "হার্ড ইমিউনিটি" করোনা থেকে বাঁচাবে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হার্ড ইমিউনিটির জন্য প্রতি ১০ জনে ৯ জনকে আক্রান্ত হতে হবে। অর্থাৎ দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হলে তবেই "হার্ড ইমিউনিটির" সম্ভাবনা। যা আরও শোচনীয় পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: পাঁচ দিন আগেই রামমন্দিরের করোনা আক্রান্ত পুরোহিতের পাশে ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, হার্ড ইমিউনিটি এই রোগ থেকে পরোক্ষ ভাবে বাঁচাতে পারে। এ-ও জানানো হয়েছে এই ইমিউনিটি একটা জনসংখ্যাকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারে। কিন্তু করোনা প্রতিহত করতে প্রধান অস্ত্র প্রতিষেধক। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পাশাপাশি হর্ষ বর্ধন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীও। "কাউন্সিল ফর সায়েন্টেফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) টেকনোলজিস ফর কোভিড-১৯ মাইটিগেশন"-এর উদ্বোধনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, দেশের সুস্থতার হার ৬৪ শতাংশ। যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। দেশে মৃত্যুর হার ২.২ শতাংশ।
দেশে প্রথম করোনা আক্রান্তর হদিশ মিলেছিল জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখ। ছয় মাস কেটে গেলেও ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে কথা বলার সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৬ মাস আগে দেশ ভেন্টিলেটরের আমদানি করছিল। এখন দেশ ৩ লক্ষ ভেন্টিলেটর তৈরি করেছে। প্রায় ১৫০ টি দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানি করছে ভারত।
"এপ্রিলে আমরা দৈনিক ৬ হাজার করোনা পরীক্ষা করছিলাম। এখন দৈনিক ৫ লক্ষ। এক-দুই মাসের মধ্যে এই সংখ্যা ১০ লক্ষ করার পরিকল্পনা রয়েছে," একথাও বলেছেন হর্ষ বর্ধন। সারা বিশ্বের মতো ভারতও করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত বায়োটেক ও জাইডাস ক্যাডিলার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।