ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিক, পড়ুয়া, পর্যটকদের ঘরে ফেরাতে বিশেষ ট্রেন `শ্রমিক স্পেশাল`
ট্রেনে ওঠার আগে প্রত্যেককে স্ক্রিনিং করা হবে। যাঁদের শরীরে কোনওরকম করোনার উপসর্গ নেই, তাঁদেরকেই যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়া ও পর্যটকদের ঘরে ফেরানোর জন্য উদ্যোগী হল কেন্দ্র। বিশেষ ট্রেন চালানোর অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, পরিযায়ী শ্রমিক, তীর্থযাত্রী, পর্যটক, পড়ুয়া ও অন্যান্য বিভিন্ন কাজের উদ্দেশে যাওয়া বহু মানুষ, যাঁরা বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়েছেন, তাঁদের জন্য রেল মন্ত্রককে বিশেষ ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। রেল মন্ত্রকের তরফে একজন নোডাল অফিসার নিযুক্ত করা হবে। তিনি বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে কথা বলে আটকে পড়া মানুষদের ঘরে ফেরার পুরো বিষয়টি তদারকি করবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকা জারির পরই 'শ্রমিক স্পেশাল' ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে রেল মন্ত্রক। আজ আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস থেকেই এই বিশেষ ট্রেন চালানো শুরু করা হচ্ছে। রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিশেষ ট্রেনগুলি 'পয়েন্ট টু পয়েন্ট রান' করবে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্ট একটি জায়গা থেকে আরেকটি জায়গায় যাবে। রেল ও রাজ্য সরকারের তরফে উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হবে। পুরো বিষয়টি তাঁদের তদারকিতেই হবে।
একইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রেল জানিয়েছে, করোনা সতর্কতায় সমস্তরকম বিধিনিষেধ মেনে চলা হবে। ট্রেনে ওঠার আগে প্রত্যেককে স্ক্রিনিং করা হবে। যাঁদের শরীরে কোনওরকম করোনার উপসর্গ নেই, তাঁদেরকেই যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে। যে রাজ্য থেকে আটকে পড়া মানুষরা ফিরবেন, সেই সরকারের তরফেই উপসর্গহীন মানুষদের স্টেশনে আসার জন্য বাসের ব্যবস্থা করতে হবে। বাসটিকে পুরো স্যানিটাইজ করতে হবে। বাসে সবাইকে একসঙ্গে আনা যাবে না। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে ব্যাচ-ব্যাচ করে মানুষদের স্টেশনে নিয়ে আসতে হবে। সবার মুখে যেন মাস্ক বা ফেস কভার থাকে।
পাশাপাশি, যে স্টেশন থেকে আটকে পড়া এই মানুষরা ট্রেনে উঠবেন, সেই রাজ্যের সরকারকে সেখানে তাঁদের জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা করতে হবে। বেশি সময়ের জার্নির ক্ষেত্রে ট্রেনে রেলের তরফে তাঁদের খাবার দেওয়া হবে। ট্রেনের ভিতরেও সবাইকে সোশাল ডিসট্যান্সিং বজায় রেখে বসতে হবে। গন্তব্যে পৌঁছনোর পর সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষ ট্রেনের যাত্রীদের স্ক্রিনিং, দরকারে কোয়ারেন্টাইন ও অন্যত্র যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন, দেশব্যাপী আরও ১৪ দিন বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ, জারি থাকছে কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা