নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার ল্যান্ডমাইন ও স্নাইপার রাইফেল উদ্ধারের পর থেকে চাপা উত্তেজনা উপত্যকায়। বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা বানচাল করেছে ভারতীয় সেনা। যাত্রার রুটে পাওয়া গিয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, স্নাইপার রাইফেল ও মাইন থেকে পাক যোগের ইঙ্গিত মিলছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অমরনাথ যাত্রার রুটে শেষনাগে পাওয়া গিয়েছে 'ক্লেমোর' ল্যান্ডমাইন। গোয়েন্দাদের মতে, ওই মাইন তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের অর্ডিন্যান্স কারখানায়। মাইনের গায়ে খোদাই করা লেখা থেকে সে বিষয়ে ইঙ্গিত মিলছে। মনে করা হচ্ছে, বেশ কিছু সময় আগেই পোঁতা হয়েছিল এই মাইন। মাওবাদীরা সাধারণত ক্লেমোর ল্যান্ডমাইন ব্যবহার করে থাকে। তবে, এর আগে কাশ্মীরে কখনও এত শক্তিশালী মাইন পাওয়া যায়নি।



অন্যদিকে অমরনাথ যাত্রার রুট থেকেই একটি এম-২৪ স্নাইপার রাইফেল খুঁজে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। টেলিস্কোপযুক্ত এম-২৮ রাইফেলের সাহায্যে অনেক দূর থেকেও গুলি চালানো সম্ভব। পাক সেনাবাহিনী এম-২৪ ব্যবহার করে থাকে। ল্যান্ডমাইন ও বন্দুকের থেকে পাক যোগেরই গন্ধ পাচ্ছেন গোয়েন্দারা।   


অমরনাথ যাত্রীদের নিরাপত্তায় থাকা সেনাবাহিনী যাত্রার রুটের কাছ থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, স্নাইপার রাইফেল, একটি আইইডি ও একটি মাইন খুঁজে পায়। এর মধ্যে মাইনটির ধরনই সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। অস্ত্র বিশারদদের মতে, এই ধরণের মাইন অন্যান্য মাইনের তুলনায় বেশ কয়েক গুণ শক্তিশালী। ফাটার পর এক ঝাঁক গুলির মতো একটি নির্দিষ্ট অভিমুখে ছুটে যায় ক্লেমোর মাইনের শার্পনেল। এর ফলে আঘাত আরও মারাত্মক হয়। মাটির নীচে পুঁতে বা গাছের সঙ্গে বেঁধে দূর থেকে রিমোটের সাহায্যে সক্রিয় করা সম্ভব ক্লেমোর মাইন। 


অস্ত্র উদ্ধারের পরেই পর্যটকদের সুরক্ষার স্বার্থে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তড়িঘড়ি পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের ফিরে আসার জন্য ‘অ্যাডভাইজ়রি’ জারি করা হয় রাজ্য প্রশাসনের তরফে। আগামী ১৫ অগস্ট শেষ হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। কিন্তু তার আগেই এভাবে তড়িঘড়ি উপত্যকা খালি করার নির্দেশে আতঙ্ক তৈরি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।


আরও পড়ুন- ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল, একের পর এক পাক জঙ্গি খতম করল সেনা