নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার জেরে মার্চ মাস থেকে লকডাউন চলছে। আর তার জন্য সেই মার্চ মাস থেকেই বন্ধ স্কুল। বন্ধ ক্লাসরুমের পঠনপাঠন। কবে স্কুল খুলবে? স্কুল খুললে করোনা সতর্কতাবিধি মাথায় রেখে  কীভাবেই বা ক্লাস হবে? ইত্যাদি একাধিক প্রশ্ন এখন সবার মনে। এরমধ্যেই সূত্রে খবর, জুলাই মাস থেকে স্কুলগুলি খোলার জন্য প্রস্তাব করেছে কেন্দ্র। তবে এখনই নিচু ক্লাসগুলি নয়। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে খবর, আরও ৩ মাস নিচু ক্লাসগুলির স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হওয়া সম্ভব নয়। নবম থেকে দ্বাদশ, একটু বড় পড়ুয়াদের নিয়েই প্রথমে স্কুলগুলি সেক্ষেত্রে খুলবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্কুল খোলার ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে করোনা সংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ- ১) মাস্ক পরতে হবে, ২) সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলতে হবে। এছাড়াও স্কুল খোলার ক্ষেত্রে আর কী কী গাইডলাইন মেনে চলতে হবে, তা নিয়ে NCERT-র সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালাচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। তবে স্কুল খুললেও, তার চেহারা যে আর আগের মতো হবে না, তা বলাই বাহুল্য। জানা যাচ্ছে, সব পড়ুয়াকে একসাথে স্কুলে ডাকা হবে না। ব্যাচ-ব্যাচ করে ডাকা হবে। একটা নির্দিষ্ট ব্যাচ কিছুদিন ক্লাস করবে। তারপর আবার অন্য ব্যাচ।


করোনার জেরে এরপর থেকে স্কুলে বসার পড়ুয়াদের বসার ক্ষেত্রেও থাকবে নিয়মাবলী। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখতে হবে প্রত্যেক পড়ুয়াকে। ক্লাসরুমে বসার ক্ষেত্রে একজন পড়ুয়ার থেকে আরেকজন পড়ুয়ার ন্যূনতম দূরত্ব থাকতে হবে ৬ ফিট। আর সেই কারণেই কোনও ক্লাসরুমেই সবাই একসঙ্গে যোগ দিতে পারবে না। ১৫ থেকে ২০ জন করে ব্যাচ করতে হবে। এর পাশাপাশি স্কুলে ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে। ফলে সবাইকে বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে আসতে হবে। করোনার জেরে টিফিন পিরিয়ডে টিফিন ভাগ করে খাওয়া, খেলাধুলো- এসবও এখন বন্ধ থাকবে স্কুলে। ক্লাসরুমে বসেই টিফিন খেতে হবে।


প্রস্তাবে বলা হয়েছে, শুধু টিফিন পিরিয়ডে খেলাধুলো নয়, করোনার জেরে স্কুল খোলার পরেও এখন বেশ কিছু মাস বন্ধ থাকবে সকালের প্রার্থনাও। এছাড়া স্কুল চত্বরে জায়গায় জায়গায়  হাত স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা থাকবে। ভিড় এড়াতে অভিভাবকরা স্কুলের ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। পড়ুয়াদের গেটে ছেড়ে দিয়ে যেতে হবে। ভিড় এড়াতে পড়ুয়াদের স্কুলে ঢোকা ও বেরনোর পথও আলাদা করে দিতে হবে। স্কুল শুরুর আগে প্রতিটি ক্লাসরুম স্যানিটাইজ করতে হবে।


আরও পড়ুন, উদ্বেগের মধ্যেই খানিকটা স্বস্তি, কমতে চলেছে করোনা টেস্টিংয়ের খরচ