নিজস্ব প্রতিবেদন: হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের পর থেকে আক্রোশে ফুঁসছে গোটা দেশ। দেশের সর্বত্র প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বিভিন্ন মহলের হাজার হাজার মানুষ। অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতেও সুর চড়াচ্ছেন অনেকে। এরই মধ্যে এই গণধর্ষণ কাণ্ডের চার অভিযুক্তকে ফ্রায়েড রাইস আর মটন কারি খেতে দেওয়া হল তেলঙ্গানার চেরাপল্লীর সেন্ট্রাল জেলে। এই খবর সামনে আসতেই এই আবহে যেন ‘আগুনে ঘি সংযোগ’-এর মতো ঘটনা ঘটল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত শুক্রবার এই গণধর্ষণ কাণ্ডের চার অভিযুক্ত জল্লু শিবা, মহম্মদ আরিফ, জল্লু নবীন আর চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুলুকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিসি জেরায় নির্যাতন, ধর্ষণ এবং পুড়িয়ে মারার কথা স্বীকারও করে নেয় অভিযুক্তরা। এর পর শনিবার এই চার অভিযুক্তকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন তেলঙ্গানার শাদনগরের ম্যাজিস্ট্রেট। তার পর তেলঙ্গানার চেরাপল্লীর সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয় অভিযুক্তদের। এর মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের বিচার হবে ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে। কিন্তু তার আগেই এই জঘন্য অপরাধের মূল অপরাধীদের ফ্রায়েড রাইস, মটন কারি দিয়ে ‘আপ্যায়ন’-এর ঘটনায় ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।


এই ঘটনায় চেরাপল্লীর সেন্ট্রাল জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের জন্য আলাদা করে কিছু করা হয়নি। জেলে কোন দিন কী খাওয়ার বানানো হবে, তা আগে থেকেই ঠিক করা হয়। রবিবার রাতের মেনুতে ছিল ফ্রায়েড রাইস আর মটন কারি। জেলের সকলকেই এই খাবার খেতে দেওয়া হয়েছিল। তাই সে দিন বাকিদের মতো এই চার অভিযুক্তকেও ফ্রায়েড রাইস আর মটন কারি খেতে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: ভুয়ো ডিগ্রি ধরা পড়ায় চাকরি গেল ২১৪ জন স্কুল শিক্ষকের


এ দিকে হায়দরাবাদের পশুচিকিৎসক ওই তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন তেলঙ্গানার আইজীবীরা। এই ঘটনায় ন্যায়বিচার চেয়ে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সোমবার তেলঙ্গানা হাই কোর্টের সামনে বিক্ষোভ দেখান ‘অ্যাডভোকেটস জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’ (JAC)। তাঁরা জানিয়ে দেন, অভিযুক্তদের হয়ে মামলা লড়বেন না কোনও আইজীবী।