নিজস্ব প্রতিবেদন :  বিচারের অপেক্ষায় ঝুলে রয়েছে একাধিক দেওয়ানি মামলার ভাগ্য। এরকম মামলার সংখ্যা কত, কেন মামলাগুলির বিচারে এত বিলম্ব এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই পরিসংখ্যান দিতে গিয়েই ঘাবড়ে গেলেন রেজিস্টার জেনারেল।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ যেন আসামীর 'কাঠগড়ায়' খোদ হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল! তাঁর উদ্দেশে একের পর এক ধেয়ে আসছে প্রশ্নবাণ। সু্প্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগোইয়ের চোখা চোখা প্রশ্নের মুখে দৃশ্যতই অপ্রস্তুত তিনি। বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরের দিতে গিয়ে কার্যত 'ঘেমে নেয়ে' একসা হলেন দিল্লি হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল। শেষমেশ হাতজোড় করে সময় ভিক্ষা করে নিতে এক প্রকার বাধ্য হলেন তিনি।


আরও পড়ুন, অমরনাথে জয়ধ্বনি নিষিদ্ধ নয়, ব্যাখ্যা আদালতের


এদিন বিচারপতি গগৈ প্রশ্ন শুরু করতেই, উত্তর দেওয়ার জন্য সঙ্গে থাকা নথিপত্র ঘাঁটতে শুরু করেন রেজিস্টার জেনারেল। কিন্তু হাইকোর্টে ১০ বছরের পুরনো কতগুলি মামলা ঝুলে রয়েছে, এর কোনও সদুত্তর দিতে না পেরে আত্মসমর্পণ করেন রেজিস্টার জেনারেল। গগৈয়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আমার সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে। আমাকে একটু সময় দেওয়া হোক।"


রেজিস্টার জেনারেলের এই উত্তরে স্তম্ভিত হয়ে যায় শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টে আসার আগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে আসাই যে দস্তুর তা রেজিস্টার জেনারেলকে মনে করিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। এরপরই রেজিস্টারের অক্ষমতাকে তীব্র তিরস্কারও করে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ।


আরও পড়ুন, আধার মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ শুক্রবার


তবে তিরস্কার করলেও রেজিস্টারের আর্জিতে সাড়া দেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সেদিনের মত সময় মঞ্জুর করা হয় রেজিস্টার জেনারেলকে। তাঁকে জানানো হয়, দিনের একদম শেষ মামলা হিসেবে ফের আদালতে উঠবে মামলাটি। এরমধ্যেই তিনি যেন নিজেকে 'সামলে' নেন এবং 'বিচলিতভাব' কাটিয়ে ওঠেন।