নিজস্ব প্রতিবেদন: টান ২৪ ঘণ্টার স্নায়ুর লড়াইয়ের পর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান-কে মুক্তি দিতে বাধ্য হল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একের পর এক বার্তা আসতে থাকে পাকিস্তানের তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন দুপুরে পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রসমিত করতে ভারতীয় বায়ুসেনা পাইলটকে ছেড়ে দিতে রাজী পাকিস্তান। তখনই বোঝা গিয়েছিল সুরু নরম হচ্ছে পাকিস্তানের। এরপর বিকালে পাক সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘোষণা করেন, ভারতীয় বায়ুসেনা পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে আগামিকাল ছেড়ে দেওয়া হবে।



আরও পড়ুন-ভারতের আকাশে ফের ঢোকার চেষ্টা দুটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের


এই প্রথম নয়। কূটনৈতিক চাপ দিয়ে এর আগেও এক ভারতীয় পাইলটকে ফিরিয়ে এনেছিল ভারত। কারগিল লড়াইয়ের সময়ে টানা ৮ দিন জোর টানাপোড়েনর পর বায়ুসেনার পাইলট কাম্বানপাতি নচিকেতাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। ১৯৯৯ সালের ২৮ মে তাকে আটক করে পাক সেনা। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৪ জুন। তবে তাঁর শিরদাঁড়ায় জোরাল চোট লাগার কারণে তিনি আর বিমান ওড়াতে পারেননি।


 


মুক্তি পেয়ে পাক সেনা হেফাজতের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানান নচিকেতা। তাঁর কথায়, কথা সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে পারব না। সে সময় মনে হয়েছিল, এর থেকে বরং মরে যাওয়াই ভালো। কিন্তু শেষপর্যন্ত ঈশ্বর আমার পক্ষেই ছিল।


আরও পড়ুন-পাক হেফাজতে থাকা বায়ুসেনা পাইলটকে কীভাবে ফেরত পাবে ভারত? কী বলছে জেনেভা কনভেনশন?


প্রাক্তন ফাইট লেফটেন্যান্ট নচিকেতা জানান, ১৯৯৯ সালের ২৬ মে বাটালিক সেক্টরে অপারেশন শুরু করে বায়ুসেনা। ওই অভিযানে সামিল ছিলাম আমিও। ৩০ এমএম কামান থেকে গুলি চালানো হচ্ছিল। এর মধ্যেই বিমানের ইঞ্জিন আগুনে পুড়ে যায়। বাধ্য হয়ে আপাতকালীন ইজেকশনের মাধ্যমে পাক সীমানার মুন্থাডালোতে নামতে বাধ্য হই।


পাক সীমানায় নামার পরই আমাকে ঘিরে ফেলে পাক সেনা। নিজের পিস্তল থেকে গুলি চালাতে শুরু করি। শেষপর্যন্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হই। গ্রেফতার করার পর কপ্টারে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কারড়ুতে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ইসলামাবাদে।