পাক হেফাজতে থাকা বায়ুসেনা পাইলটকে কীভাবে ফেরত পাবে ভারত? কী বলছে জেনেভা কনভেনশন?
ভারত ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়ে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করেছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের হেফাজতে থাকা মিগ-২১ পাইলটকে যেভাবে সে দেশের সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ করেছে ভারত। বলা হয়েছে, আহত পাইলটকে সর্বসমক্ষে হাজির করা ও তার সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে তা জেনেভা কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। যত দ্রুত সম্ভব ওই পাইলটকে ফেরত দিতে হবে।
আরও পড়ুন-নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে হামলার চেষ্টা পাকিস্তানের, যোগ্য জবাব ভারতের
ভারত ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়ে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করেছে। তবে দেখে নেওয়া যাক কী রয়েছে জেনেভা কনভেনশনে?
১৮৬৪ ও ১৯৪৯ সালে ভারত ও পাকিস্তান সহ দুনিয়ার অধিকাংশ দেশে একাধিক চুক্তিতে সাক্ষর করে। ওইসব চুক্তিগুলিকে একসঙ্গে জেনেভা কনভেনশন হলা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, আটক, আহত ও অসুস্থ সেনাদের রক্ষা করতে হবে।
যেসব অসামরিক মানুষজন যুদ্ধে আহতদের সেবা বা রক্ষা করবে তাদের রক্ষা করতে হবে।
রেডক্রসকে মানতে হবে। এর কর্মীদের রক্ষা করতে হবে।
যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক সেনা ও সাধারণ নাগরিকদের ওপরে কোনও শারীরিক অত্যাচার, অপমান বা জনসমক্ষে হেনস্থা করা যাবে না। কোনও টালবাহানা ছাড়াই তাদের নিজেদের দেশের হাতে তুলে দিতে হবে।
শুধু যুদ্ধের সময়ে নয়, তৃতীয় জেনেভা কনভেনশনে বলা হয়েছে কোনও ‘আর্মড কনফ্লিক্ট’-র সময়েও এই চুক্তি কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন-ভারতের আক্রমণে ভেঙে পড়া পাকিস্তানের F-16 যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ্যে এল
ভারতের পক্ষে যুক্তি হল, বায়ুসেনার পাইলট যুদ্ধবন্দি না হলেও তিনি দুদেশের মধ্যে ‘আর্মড কনফ্লিক্ট’-র মধ্যে আটক হয়েছেন। ফলে জেনেভা কনভেনশনের শর্ত এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
এখন পাকিস্তান যদি ওই পাইলটকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে ঘোষণাও করে তাহলে ওই পাইলটকে দ্রুত ফেরত দিতে হবে। কারণ কনভেনশনের প্রথম প্যারাগ্রাফে লেখা রয়েছে যুদ্ধবন্দিকেও দ্রুত ছাড়তে হবে। পাকিস্তান তা না করলে তা চুক্তিভঙ্গের সামিল হবে।
জেনেভা কনভেনশনের ১৩ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, যুদ্ধবন্দির সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে। কোনও নির্যাতনের ফলে ওই বন্দির মৃত্যু হলে তা হবে কনভেনশনের চুক্তি লঙ্ঘনের সামিল।