অঞ্জন রায় ও সৌরভ পাল


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রত্ন-হারা ভারত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে শোকাহত গোটা দেশ। পরিবার পরিজনরা তো বটেই, ভারতরত্নের বিদায়ে বিষন্ন আসমুদ্র হিমাচল।


বন্ধু বিয়োগে কাতরাচ্ছেন বাজপেয়ীর কলকাতার বন্ধু ঘনশ্যাম বেরিওয়ালা। চুলে পাক ধরলেও ‘অটল স্মৃতি’ এতটুকুও টলেনি তাঁর। অনর্গল বলছেন, “বাজপেয়ী কলকাতায় এলেই ফুচকায় মজতেন”। সঙ্গে জানালেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সিনেমা প্রেমের কথাও। 


‘মন জিতে এসো’, পাকিস্তান সিরিজের আগে সৌরভকে বলেছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী 


একই রকমভাবে অটল স্মৃতিতে বুদ 'জুলু বাবু'ও। এই আবেগঘন মুহূর্তে স্মৃতির সরণীতে কেবল অতীত হাতরাচ্ছেন তিনি। এ দিন তিনি জানালেন যন্ত্রণার কথাও। “অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ একটা বিরাট ক্ষতি”, প্রতিক্রিয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জুলু বাবুর। বিষাদ বিজড়িত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী একই সঙ্গে জানালেন হতাশার কথাও। যাঁদের দেখে বিজেপি-তে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন চলে গেলেন। আর যাঁরা আছেন তাঁরা থেকেও নেই!


লুকিয়ে বাজপেয়ীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন জ্যোতি বসু!


মোদী-শাহ জমানায় যেভাবে একঘরে করে দেওয়া হয়েছে লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর যোশীর মতো নেতাকে, তা মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না জুলু বাবু। আজ (বৃহস্পতিবার) অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুর দিনে আক্ষেপ করে সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় বলছেন, “অটলজি সক্রিয় থাকলে, লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলি মনোহর যোশীদের এভাবে একঘরে করে দেওয়া যেত না”। 


বন্ধু বাজপেয়ী কলকাতায় এলেই বসত ফুচকা বধের আসর


উল্লেখ্য, সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জুলু বাবু ছিলেন অটল মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রী। সাল ২০০০ থেকে ২০০২ পর্যন্ত সার ও রাসায়নিক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এরপর শিল্প ও বাণিজ্য দফতেরর প্রতিমন্ত্রী (২০০৩ সাল পর্যন্ত) হিসেবেও কাজ করেছেন বাংলার এই প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, “তাঁর (বাজপেয়ী) মতো বিরাট ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। ২৩টি দল নিয়ে সরকার গড়েছিলেন, কিন্তু কোনও দিন শুনিনি শরিক দলের নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। নিঃসন্দেহে বলতে পারি, তিনি যতদিন ছিলেন, সাফল্যের সঙ্গেই সরকার চালিয়েছেন ”।