নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পাল্টা জবাব মঙ্গলবারই দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তার পরের দিন জইশ-ই-মহম্মদকে আরও বড় শিক্ষা দেওয়ার হুঁশিয়ার দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামানো হয়েছে', পাক দাবি খারিজ বায়ুসেনার


বুধবার তিনি নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। টেনে এনেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাদেন নিধনের প্রসঙ্গও।


অরুণ জেটলি এদিন বলেন, ''আমার মনে হয়, মার্কিন নেভি সিল যখন ওসামা বিন লাদেনকে অ্যাবোটাবাদে (পাকিস্তান) ঢুকে মারতে পেরেছে। তখন আমরা কেন পারব না?''



কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। তাহলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দ্বিতীয় সংস্করণেই সবটা শেষ হয়ে যাচ্ছে না? জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের জন্য কি আরও বড় পরিকল্পনা করে রেখেছে ভারত?


যদিও নিজের মন্তব্যের কোনও ব্যখ্যা দেননি অরুণ জেটলি। বরং তিনি পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পর বায়ুসেনার পাল্টা প্রত্যাঘাতের মাঝের সময় নিয়ে আলোচনা করেছেন।


আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার MI-17, মৃত পাইলট সহ ৪ বায়ুসেনা কর্মী


প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিহানা হয়। সেই হানায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। আহত হন অনেকে। ওই ঘটনার ১২দিন পর জইশের উপর পাল্টা প্রত্যাঘাত করে বায়ুসেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি।


এই প্রসঙ্গে অরুণ জেটলির বক্তব্য, দেশের জন্য এক সপ্তাহ অনেক বড় সময়। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টার দিকে তাকালে গত এক সপ্তাহকে একদিন বলে মনে হবে।



বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা এদিন বিরোধীদের বিঁধতেও ছাড়েননি। কটাক্ষ করে বলেছেন, ''একসময় এটাই ছিল কল্পনা, এটাই ছিল ইচ্ছা, এটাই ছিল হতাশা।'' রাজনৈতিক মহলের মত, একথা তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যেই শুনিয়েছেন।