ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার MI-17, মৃত পাইলট সহ ৪ বায়ুসেনা কর্মী
যদিও এই সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্যই পাওয়া যায়নি ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে। কী ভাবে ভাঙলো বিমান, ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে কাশ্মীরের আকাশ সীমায়। মঙ্গলবার ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর বেপরোয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান। সকালে জম্মু-কাশ্মীরের বাটগাঁও-এ ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টার MI-17। আধিকারিক সূত্রে খবর, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন সকাল ১০:৫০ নাগাদ কালান গ্রামের কাছে একটি মাঠে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টার। দু-টুকরো হয়ে ভেঙে পড়া মাত্রই আগুন ধরে যায় তাতে।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে ঘটনায় দু'জন পাইলট এবং দু'জন বায়ুসেনা কর্মীসহ মোট চারজনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। যদিও এই সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্যই পাওয়া যায়নি ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে। কী ভাবে ভাঙলো বিমান, ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রসঙ্গত, ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে রাশিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি এই চপার রয়েছে বেশ কয়েকটি। তাঁর মধ্যেই একটি ভেঙে পড়েছে আজ সকালে।
আরও পড়ুন: ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা পাক যুদ্ধবিমানের, তাড়াল ভারতীয় বায়ুসেনা
বুধবার সকালে নিয়ন্ত্রণেরখা পেরিয়ে ভারতের আকাশসীমায় ঢোকার চেষ্টা করে ৩টি F-16 । কাশ্মীরের পুঞ্চ ও নওসেরা সেক্টরে ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করে পাক যুদ্ধবিমান। সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় বায়ুসেনার টহলদারি বিমান। ৩টি F-16 বিমানের মধ্যে একটিকে গুলি করে নামায় ভারতের সুখোই-৩০ (Su-30)। এরপর পিছু হঠতে বাধ্য হয় পাক যুদ্ধবিমানগুলি। ফিরে যাওয়ার সময় গোলাবর্ষণ করে পাক যুদ্ধবিমানগুলি। রাজৌরির সেক্টরে ভারতীয় সেনার ছাউনির কাছে পাক যুদ্ধবিমানগুলি বোমাবর্ষণ করে বলে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর।
সবমিলিয়ে পরিস্থিতির অবনতির কারণে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চূড়ান্ত সতর্কতা সীমান্তে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক জানিয়েছেন ‘‘আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে’’। লে, জম্মু, শ্রীনগরসহ কাশ্মীর-পাকিস্তান লাগোয়া সমস্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি বাণিজ্যিক বিমান ওঠানামাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই মুহূর্তে। কড়া নিরাপত্তার মোড়কে ঘিড়ে ফেলা হয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকাও।