নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের হাতে আটক বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান দেশে ফিরেছেন শুক্রবার রাতে। ট্যুইট করে তাঁকে রাতেই স্বাগত জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


শনিবারও অভিনন্দনকে নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। বললেন, ''ভারত এখন এতটাই শক্তিশালী যে অভিধানের অর্থ বদল করতে পারে।'' এর পরই তিনি অভিনন্দনের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।


প্রধানমন্ত্রীর কথায়, এতদিন ইংরেজিতে অভিনন্দন শব্দের অর্থ ছিল congratulation. কিন্তু এখন অভিনন্দনের মানেই বদলে গেল।


আরও পড়ুন: ভারতের মাটিতে পা রেখে মুখ খুললেন অভিনন্দন, দিলেন প্রথম প্রতিক্রিয়া


প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গিহামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। আহত হন অনেকে। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।


তার পাল্টা হিসেবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে আরও একবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটিতে আকাশপথে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা।


আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন অভিনন্দন, সার্ভিস রিভলবার ফেরত দিল পাকিস্তান


সেই হামলার পরদিনই ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে একাধিক পাক যুদ্ধবিমান। তার মধ্যে তিনটি এফ-১৬ও ছিল। সেই তিন যুদ্ধবিমানের একটিকে তাড়া করতে গিয়েই পাকিস্তানের হাতে আটকে পড়েছিলেন অভিনন্দন।



তাঁকে ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছিল গোটা ভারত। পাশাপাশি তাঁর বীরত্বের কাহিনিতে ভরে উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফলে ভারতীয়দের কাছে এখন অভিনন্দন ও বীরত্ব, দুটি শব্দ সমার্থক হয়ে গিয়েছে।


আরও পড়ুন: পাকিস্তানের গর্দান মুড়িয়ে ঘরের ছেলেকে ফেরাল ভারত


এদিন প্রধানমন্ত্রীও সেকথাই বলতে চেয়েছেন। এদিন নয়াদিল্লির বিজ্ঞানভবনে একটি সরকারি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই একথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, দুনিয়া এখন অপেক্ষায় থাকে ভারত কী করছে দেখার জন্য।