নিজস্ব প্রতিবেদন: চাপে বা অন্য কোনও কারণেই হোক ভারতের বিরুদ্ধে সুর নরম করছে নেপাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোন করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। রবিবার দুদেশের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ভারতে নেপালের রাষ্ট্রদূত নীলাম্বর আচার্য্য।


আরও পড়ুন-নেট দুনিয়ায় ঘুরছে ভুয়ো অক্সিমিটার অ্যাপ; ডাউনলোড করলেই খোয়াতে হবে সর্বস্ব!


ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক প্রসঙ্গে নীলাম্বর আচার্য্য বলেন, দুদেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ। তাই যে কোনও সময়ে বসে দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান করে যেতে পারে।


ভারতের আপত্তি উপেক্ষা করেই উত্তরাখণ্ডের তিন এলাকা সেদেশের ম্যাপে স্থান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। নতুন ওই ম্যাপ রাষ্ট্রসংঘেও পাঠানোর তোড়জোড় করছেন তিনি। পাশাপাশি গত কয়েক মাসে একাধিকবার নেপাল-বিহার সীমান্তে ভারতীয়দের ওপরে গুলি চালিয়েছে নেপালের বর্ডার পুলিস। এখানেই থেমে থাকেননি ওলি। দেশের মানুষের ভাবাবেগে হাওয়া দিতে প্রধানমন্ত্রী ওলি দাবি করেছেন, রাম আসলে নেপালের মানুষ। অযোধ্যা নেপালে। সবেমিলিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা নিয়ে দেশে চাপে থাকলেও এনিয়ে একটি কথাও খাসননি ওলি। এতদিনে ট্র্যাক টু ডিপ্লোমেসি শুরু করেছে কাঠামান্ডু।


স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য প্রসঙ্গে আচার্য্য বলেন, দুদেশের মধ্যে শতাব্দী প্রাচীন সম্পর্ক ও সহযোগিতার ওপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভারতের স্বাধীনতার লড়াই দুনিয়ার বহু দেশকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। সংস্কৃতি, সামাজিকতা-সহ একাধিক বিষয়ে দুদেশের মধ্যে মিল রয়েছে। আমাদের লক্ষ্যও একই।


আরও পড়ুন-ভারতীয় সেনার পরিচয় দিয়ে মিষ্টির অর্ডার, হোয়াটঅ্যাপে পাঠানো বারকোড স্ক্যান করতেই উধাও ৭০ হাজার


উল্লেখ্য, সোমবার দুদেশের মধ্যে সচিব পর্যায়ের একটি বৈঠক হবে। গত ২ মাস ধরে চলা টানাপোড়েনের পর এই প্রথম আলোচনার টেবিলে বসছে দুদেশ। নেপালে ভারতের কিছু প্রকল্প নিয়ে কথা হবে ওই বৈঠকে। নেপালের ১০টি রাস্তার উন্নয়নের কাজে সেদেশকে সাহায্য করছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে যোগবানি-বিরাটনগর, জয়নগর-বার্ডিবাস রেল পথ। সেই লক্ষ্যেই সম্ভবত কথা সম্পর্ক শোধরানোর চেষ্টা করছে কাঠামান্ডু।