নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তেজনার পারদ চড়ছে লাদাখে। মঙ্গলবার ভারত জানিয়ে দিল, চিন ১৯৫৯ সালে একতরফা ভাবে একটি এলএসি বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা তৈরি করেছিল। তা কখনওই মেনে নেয়নি ভারত। এখনও তা মেনে নিচ্ছে না। দুনিয়ার অধিকাংশ দেশ ভারতের এই অবস্থানের কথা জানে। আজ এমনটাই জানানো হল কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মেডিক্যালে কোভিড ডাক্তার-নার্সদের আড়াই মাসের খাবারের বিল দেড় কোটি! 


চিনের উদ্দেশ্যে বিদেশ মন্ত্রকের বার্তা, বেজিং আগে দুদেশের মধ্যে সব সমঝোতা মেনে চলুক। একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা তৈরি করা যাবে না। ঠিক হয়েছিল দুদেশের সমঝোতার ভিত্তিতে লাদাখে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল তৈরি করা হবে।


উল্লেখ্য, ২০০৩ সাল পর্যন্ত দুপক্ষ এলএসির অবস্থান কী হবে তা ঠিক করার জন্য আলোচনা চালিয়ে এসেছে।  কিন্তু তার পরে এলএসি-র সমস্যা সমাধানে আর কোনও আগ্রহ দেখায়নি চিন। বিবৃতিতে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেন, লাদাখকে যেভাবে বেআইনি উপায়ে দেশের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ভারত ঘোষণা করেছে তা চিন মানে না। ওই মন্তব্যের পরই এই বিবৃতি দিল বিদেশমন্ত্রক।


আরও পড়ুন-করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ, ১ মাস ডাক্তার-নার্সদের পড়ে থাকতে হবে হাসপাতালেই!


লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ১৯৫৯ সালে ভারতের তত্কালীন প্রধামনন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে একটি চিঠি লেখেন চিন প্রধামন্ত্রী চৌ এন লাই। সেই চিঠিতে দুদেশের সীমান্তের একটা কাল্পনিক ধারনা ছিল। তা একতরফা ভাবে দিয়েছিল চিন। কিন্তু কোনও স্পষ্ট রেখা টানা হয়নি। ফলে এলএসি নিয়ে দুদেশের দুরকম ধারনা রয়েই গিয়েছে। সম্প্রতি এই কথাটাই ফের বলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।