নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের প্রত্যাঘাতের পর হামলা চালাতে পারে পাকিস্তান। বুধবার আকাশপথে তারা সেই চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায় তারা। তার মধ্যে ভেঙে পড়ে একটি পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে হামলার চেষ্টা পাকিস্তানের, যোগ্য জবাব ভারতের


তার পর থেকেই একের পর এক সতর্কতা জারি করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এবার সতর্ক করা হল ভারতীয় নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকে। একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের উপকূলেও কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


এই নির্দেশ আসার পরই উপকূলে নজরদারি বাড়ানো শুরু করেছে ভারতের পশ্চিম উপকূলে। মাছধরার ট্রলারগুলিতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কারণ, ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার সময় পাকিস্তানের করাচি থেকে মাছ ধরার ট্রেলারেই ভারতীয় উপকূলে এসেছিল আসমল কাসভ ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা।


আরও পড়ুন: মোদী জমনায় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় খোলনলচে বদলে ফেলেছে ভারত!


একটি সূত্রের খবর, পাকিস্তানের দিক থেকে সাবমেরিনে আক্রমণ আসতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সেই কারণে অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়ে সবরকমভাবে প্রস্তুত হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী।


প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। আহত হন অনেকে। ওই ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে আসমুদ্র-হিমাচল। সকলেই পুলওয়ামার ঘটনার বদলার দাবিতে সরব হন।


আরও পড়ুন: ভারতের এয়ারস্ট্রাইকের পর কোণঠাসা ইমরানের মুখে আলোচনার আর্জি


পুলওয়ামা হামলার দায় নিয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ। তাদের যেহেতু পাকিস্তান সাহায্য করে তাই ভারত সরকার প্রথমেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দেন যে সেনাবাহিনীকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।


পুলওয়ামার ঘটনার ১২ দিন পর জবাব দেয় ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি।


আরও পড়ুন: বিফলে পাক হানা, নিখোঁজ এক ভারতীয় পাইলট, পাক হেফাজতে থাকার দাবি খতিয়ে দেখছে বিদেশমন্ত্রক


আর তার পর থেকেই পাকিস্তানের হামলার গতি বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার পাকিস্তানের তিনটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ে ভারতের আকাশে। সেগুলিকে তাড়িয়ে দেয় ৬টি মিগ-২১।


এই প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারতের একটি মিগ-২১। সেই বিমানের পাইলটকে ধরে রেখেছে পাকিস্তান। তাই ইমরান খানের দেশকে কোনওভাবেই হালকাভাবে নিতে নারাজ মোদী সরকার। বায়ুসেনার ওই পাইলটকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার পাশাপাশি সবরকম ভাবে প্রস্তুত থাকছে ভারত।