বিফলে পাক হানা, নিখোঁজ এক ভারতীয় পাইলট, পাক হেফাজতে থাকার দাবি খতিয়ে দেখছে বিদেশমন্ত্রক
এ দিন সকালে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এফ-১৬ পাক যুদ্ধবিমান। কাশ্মীরে পুঞ্চ ও নওসেরা সেক্টরে ঢোকা মাত্রই জবাব দেয় ভারতের টহলদারি বিমান
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের আকাশসীমায় পাক যুদ্ধবিমানের প্রবেশমাত্রই তত্ক্ষণাত্ জবাব দিয়েছে বায়ুসেনা। এবং একটি পাক যুদ্ধবিমানকেও নামানো হয়েছে বলে দাবি করা হয় ভারতের তরফে। আজ বুধবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছেন, পাকিস্তানে জইশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নতুন করে হামলার ছক কষা হচ্ছিল। গতকাল ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালায় আমাদের বায়ুসেনা। তারই পাল্টা জবাবে আজ সকালে সেনার উপর প্রত্যাঘাতের চেষ্টা করে পাক যুদ্ধবিমান। তত্ক্ষণাত্ জবাবও দেওয়া হয়।
রবীশ কুমার আরও দাবি করেছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একটি পাক যুদ্ধ বিমান ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এ সময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে চালক-সহ ভারতের মিগ ২১ বিমান ভেঙে পড়ে। এর পরে নিখোঁজ হয় চালক। রবীশ কুমারের কথায়, ওই চালক তাদের হেফাজতে আছে বলে পাকিস্তান দাবি করেছে। খবরে সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে।
আরও পড়ুন- ভারতের উপর হামলার চেষ্টা চালানোর পর শান্তির বার্তা দিচ্ছে ইসলামাবাদ!
এ দিন সকালে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এফ-১৬ পাক যুদ্ধবিমান। কাশ্মীরে পুঞ্চ ও নওসেরা সেক্টরে ঢোকা মাত্রই জবাব দেয় ভারতের টহলদারি বিমান। প্রত্যাঘাত পেয়েই পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, রাজৌরি সেক্টরে বোমা ফেলে পালায় পাক বিমান। যদিও, পাক মেজর জেনারেল গফুর দাবি করেন, পাক নিয়ন্ত্রিত আকাশসীমা থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার ২ যুদ্ধবিমানকে নামানো হয়েছে। একটি ভারতের দিকে পড়ে। অন্যটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভেঙে পড়ে। গফুরের আরও দাবি ছিল গ্রেফতার করা হয়েছে পাইলটকে।
#WATCH Raveesh Kumar, MEA: One Pakistan Air Force fighter aircraft was shot down by Indian Air Force. In this engagement, we have lost one MiG 21. Pilot is missing in action. Pakistan claims he is in their custody. We are ascertaining the facts. pic.twitter.com/Bm0nVChuzF
— ANI (@ANI) February 27, 2019
আরও পড়ুন- বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কিছুক্ষণেই স্বাভাবিক হবে পরিষেবা
ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে গফুরের দাবি খারিজ করে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও যুদ্ধবিমান নামানো হয়নি। কোনও পাইলটকেও গ্রেফতার করা হয়নি। এমনকি পাক মিডিয়ায় বিমান ধ্বংসের যে ছবি দেখানো হচ্ছে, তা ভুয়ো বলে অভিযোগ উঠেছে। মজার বিষয়, গফুরের এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান বদল করেন তিনি। পরে গফুর দাবি করেন, ভারতে বুদগামে ভেঙে পড়া বিমানটির সঙ্গে তাদের কোনো হাত নেই। এরপর কার্যত ঢোক গিলে শান্তির পথে হাঁটার বার্তা দেন তিনি।