নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের মুখে হাল্কা স্বস্তি মোদী সরকারের। এশিয়ান ডেভালপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০১৯-র সম্প্রতি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষের (২০১৮-১৯) সার্বিক বৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৭.২ শতাংশে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের বৃদ্ধি এবং অস্বভাবিকভাবে টাকার পতন হওয়ায় ব্যয় সংকোচের পথে হাঁটতে হয় কেন্দ্রকে। যার পরই চাঙ্গা হতে থাকে দেশের অর্থনীতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের ৭.২ জিডিপি পরের বছরে নেমে দাঁড়ায় ৭-এ। অপর্যাপ্ত কৃষি উত্পাদন এবং সরকারের ব্যয় ক্রমশ বৃদ্ধিকেই দায়ী করেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বাজারে নগদ জোগান কম থাকায় ঋণ ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যার ফলে ভারী শিল্পে এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ধাক্কা খেতে হয় মোদী সরকারকে। এশিয়ান ডেভালপমেন্ট ব্যাঙ্কের দাবি, আগামী দু’বছর  ৭.২ থেকে ৭.৩ শতাংশের মধ্যে ঘোরাঘুরি করবে জিডিপি।


আরও পড়ুন- কংগ্রেসের ইস্তাহারকে ‘ভুয়ো নথি’ বলে কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদী


উল্লেখ্য, গত মাসে পরিসংখ্যান দফতর ভারতের জিডিপির পূর্বাভাস ৭.২ শতাংশ কমিয়ে ৭-এ নামিয়ে আনে। মার্কিন সংস্থা ফিচ রেটিং আবার পূর্বাভাস দেয় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে জিডিপি দাঁড়াবে ৬.৯ শতাংশে। তারাই গত সেপ্টেম্বরে ৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। পরে তা কমিয়ে ৭.২ শতাংশ রেটিং দেওয়া হয়।


ক্ষমতা আসার পর ৮ শতাংশে জিডিপি রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি জিডিপি মাপদণ্ড পরিবর্তন করেও মনমোহন জমানাকে টেক্কা দিতে পারছেন না তিনি। এই মুহূর্তে বাজারে নগদ টাকা জোগান দিতে সব রকমের পদক্ষেপ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। জানা যাচ্ছে, অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে ২৫ বেসিস সুদ কমাতে পারে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।