নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজধানীতে ঘাপটি মেরে রয়েছে জইশের লোকজন। স্বাধীনতা দিবসের দিনই আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে তারা। এমনই আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। ফলে দিল্লিতে পুলিসকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন দিল্লিতে ঘাঁটি গেড়েছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই আবদুল রউফ আসগারের ঘনিষ্ঠ এক জঙ্গি সহ ৯ জঙ্গি। মহম্মদ ইব্রাহিম নামে ওই জঙ্গি একসময় রাউফের দেহরক্ষী ছিল। এবার তাকেই পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে আত্মঘাতী হামলা করার জন্য। সবেমিলিয়ে ৯ জন জঙ্গি রাজধানীতে ঢুকেছে বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন-মশারি টানানো বিছানায় শুয়ে থাকা গৃহকর্তার পায়ে সুড়সুড়ি, উদ্ধার সাপ


ইব্রাহিম ছাড়া আরও একজন জঙ্গি দিল্লিতে ঢুকেছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। সেও জইশ-ই-মহম্মদ সদস্য। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনু‌যায়ী গোয়েন্দাদের দাবি এ বছর মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে ভারতে ঢুকেছে ইব্রাহিম। এখন সে দিল্লিতে। রাজধানীতে জইশের নেটওয়ার্কের সঙ্গে ‌যোগা‌যোগ করছে ইব্রাহিম। উমর নামে আরও এক জঙ্গি কাশ্মীর দিয়ে ভারতে ঢুকে দিল্লিতে হামলা চালানোর ছক কষেছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।


রাজধানীতে গোটা হামলার ছক তদারকি করছে মাসুদ আজহারের ভাই অবদুর রউফ আসগার। ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি কা‌র্যকলাপ চালানোর ক্ষেত্রে সে-ই এখন জইশের সেকেন্ড ইন কমান্ড। জইশকে সাহ‌া‌য্য করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পাক জঙ্গিদের অস্ত্র ও বিস্ফোরক ইতিমধ্যেই পাঠানো শুরু হয়েছে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে।


আরও পড়ুন-এটিএমকাণ্ডে স্পষ্ট হল নেপাল যোগ


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে পাঞ্জাবের পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা। সেই হামলা পরিচালনা করেছিল মাসুদ আজহারের ভাই আসগার। আর ১৯৯৯ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কান্দাহারে উড়িয়ে নিয়ে ‌যাওয়ার পেছনে ছিল মাসুদ আজহারের মাথা।


গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারত-পাক সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে কমপক্ষে ৬০০ জঙ্গিকে ভারতে ঢুকিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তানি সেনা। জি নিউজের খবর অনু‌যায়ী নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানের মাটিতে বিভিন্ন লঞ্চপ্যাডে অপেক্ষা করছে ওইসব জঙ্গিরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দেওয়া গোয়েন্দা রিপোর্ট অনু‌যায়ী ওইসব জঙ্গিদের সরাসরি সাহা‌য্য করছে আইএসআই।


উল্লেখ্য, এবছর জুলাইয়েই গোয়েন্দাদের রিপোর্ট ছিল জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের সমুদ্রে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। উদ্দেশ্য ভারতের নৌবাহিনীর ওপরে হামলা চালানো। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার সময়ে জলপথেই ভারতে ঢুকেছিল পাক জঙ্গিরা। পাকিস্তান জলপথে এসে এক ভারতীয় মাছধরার নৌকা দখল নেয় তারা। তাদের খুন করে সেই নৌকা নিয়ে মুম্বইয়ে এসে হাজির হয় আজমল কাসাব ও তার সঙ্গীরা।