নিজস্ব প্রতিবেদন: পাসপোর্টের আবেদনে দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখার সময় আধিকারিক ধর্মীয় বিভেদমূলক উক্তি করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন লখনউয়ের দম্পতি, তাঁদের পাসপোর্ট সম্ভবত বাতিল হতে চলেছে। বুধবার লখনউ পুলিস সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। লখনউ পুলিসের দাবি, পাসপোর্টের আবেদনে অসত্য বিবৃতি দিয়েছেন তনভি শেঠ নামে ওই মহিলা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লখনউ পাসপোর্ট অফিসের ওই ঘটনা নিয়ে গত সপ্তাহে দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে। তনভি শেঠ নামে এক মহিলা বিদেশ মন্ত্রকে অভিযোগ করেন, তাঁর পাসপোর্টের আবেদনের তথ্য খতিয়ে দেখার সময় আধিকারিক প্রশ্ন করেন, কেন মুসলিম যুবককে বিয়ে করলেও নাম পরিবর্তন করেননি তিনি? এমনকী ভিনধর্মে বিয়ে করে তিনি ঠিক করেননি বলেও মন্তব্য করেন বিকাশ মিশ্র নামে ওই আধিকারিক। 


যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আধিকারিক জানান, নিকাহনামায় ওই মহিলার নাম ছিল সাদিয়া অংস্। যিনি অংশ সিদ্দিকি নামে এক ব্যক্তির স্ত্রী। কিন্তু সাদিয়া অংস্ ও তনভি শেঠ যে একই ব্যক্তি তা প্রমাণ করতে পারেননি ওই মহিলা। যদিও বিতর্কের মুখে রাতারাতি বদলি করা হয় বিকাশ মিশ্রকে। দম্পতির হাতে রাতারাতি পাসপোর্ট তুলে দেয় বিদেশ মন্ত্রক। 


ইরান থেকে তেল কিনলেই নিষেধাজ্ঞা, ট্রাম্প প্রশাসনের হুমকিতে ফের বাড়ছে তেলের দাম!


এরই মধ্যে পাসপোর্টের আবেদনে তনভির দেওয়া তথ্যগুলি খতিয়ে দেখতে ময়দানে নামে লখনউ পুলিস। তদন্তে জানা যায়, গত ১ বছর তনভি লখনউতে ছিলেন এমন কোনও প্রামাণ্য নথি মেলেনি। অথচ পাসপোর্টের আবেদনপত্রে এই মর্মে স্বীকারোক্তি করেছিলেন তিনি। তাছাড়া নয়েডায় কর্মরত ওই মহিলা সেখানে যে ঠিকানায় ভাড়া থাকেন তাও সম্পূর্ণ গোপন করেছেন তিনি। 


ইতিমধ্যে এই রিপোর্ট বিদেশমন্ত্রককে পাঠিয়ে দিয়েছে লখনউ পুলিস। লখনউয়ের আঞ্চলিক পাসপোর্ট আধিকারিক জানিয়েছেন, এব্যাপারে তনভির বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হবে। ৩ দিনের মধ্যে বক্তব্য জানাতে হবে তাঁকে। তার পর তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। বাতিল হতে পারে তনভির স্বামী অংস্ সিদ্দিকির পাসপোর্টও। সঙ্গে পাসপোর্ট আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার জন্য দিতে হতে পারে ৫,০০০ টাকা জরিমানা।