ওয়েব ডেস্ক: সরকারের দাবি এদেশে এখনও ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিস-এর প্রভাব অত্যন্ত সীমিত। কিন্তু অন্তর্জাল সূত্র বলছে অন্য কথা। ভারতীয় যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির মাধ্যমে আইসিস-এর প্রতি কৌতূহল বাড়ছে। নিয়মিত তারা এই জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যকলাপ অনুসরণ করছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেঙ্গালুরু বা হায়দ্রাবাদের মত টেক স্যাভি শহরগুলোতে নয়, বরং অপেক্ষাকৃত ছোট শহরগুলিতে এই প্রবণতা অনেক বেশি। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে শ্রীনগর ও গৌহাটি। উন্নাও ও চিঞ্চওয়াড়ের মত ছোট ছোট নগর-জনপদে থেকেই সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আইসিস-এর পেজে ইন্টারনেট ট্রাফিক রোজরোজ বাড়ছে। 


মেট্রপলিটন শহরগুলির মধ্যে এই তালিকায় প্রথম ছ'টি শহরের মধ্যে একমাত্র মুম্বই আছে। এই তালিকায় আছে চার নম্বরে আছে পশ্চিম বঙ্গের অন্যতম প্রধান শহর হাওড়াও। 


এই মাসের প্রথমে ১২টি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিদের নিয়ে দেশে আইসিস-এর কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করতে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই বৈঠকে একটি ''টপ-সিক্রেট'' সমীক্ষার ফলাফল পেশ করা হয়েছে। এই সমীক্ষা অনুযায়ী রাজ্যগুলির মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই জঙ্গি আউটফিট নিয়ে সর্বাধিক উৎসাহ জম্মু-কাশ্মীরে। তারপরেই রয়েছে অসম, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গের নাম। 


তবে অনান্য রাজ্যগুলির তুলনায় উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহরের যুবসম্প্রদায় আইএস-এর অনলাইন প্রোপাগান্ডার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে উঠছে। 


এই সমীক্ষায় টুইটার, ইউ টিউব, ফেসবুকের সঙ্গে গুগল সার্চকেও কাউন্ট করা হয়েছে। দেখা গেছে এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর প্রতি উৎসাহ সর্বাধিক  ১৬-৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে। অদ্ভুত ভাবে এউ উৎসাহ কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও লিঙ্গ ভিত্তিক নয়। এমনকি বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থানের মানুষের মধ্যেই কিন্তু উৎসাহীদের সংখ্যা বাড়ছে। 


দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ইন্টারনেটে আইসিস-এর সর্বাধিক সাবস্ক্রাইবার পাকিস্তানের।   


বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিম এশিয়া, ইরাক, সিরিয়া, আমিরশাহী অঞ্চল ও উত্তর-পূর্বের আফ্রিকার যুব সমাজের মধ্যে আইসিস নিয়ে কৌতূহল সর্বাধিক।