নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের অন্যান্য মহাকাশ সংস্থার তুলনায় অনেক কম বাজেটেই একের পর এক মহাকাশ অভিযানে সাফল্য পেয়েছে ইসরো।  চন্দ্রযান-২ অভিযানের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। তা সত্ত্বেও ভারতীয়দেরই একাংশ বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচের যৌক্তিকতা খুঁজছেন। এবার সেই নিন্দুকদের জবাব দিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ কে শিবন। "ভারতকে কি আপনারা দরিদ্র ভাবেন? আমাদের দেশ মোটেও দরিদ্র নয়।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটি উন্নয়নশীল দেশে মহাকাশ অভিযানের প্রয়োজন নিয়ে অনেক সময়েই প্রশ্ন তোলেন সমালোচকরা। সমালোচনা পৌঁছেছে ডঃ শিবনের কানেও। সোমবার বেঙ্গালুরুর জৈন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসে এই বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি। ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই ভাল বলে মনে করেন তিনি। ডঃ শিবন বলেন, "যত দিন যাচ্ছে সুযোগ-সুবিধা তত বাড়ছে। তা সত্ত্বেও অনেকের ধারণা ভারত দরিদ্র দেশ।"


 



ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ডঃ শিবন বলেন, "বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ক্রয়ক্ষমতাধারী দেশ ভারত।" শুধু তাই নয়, বিশ্বমঞ্চে একই সঙ্গে কৃষি ও শিল্পে এগিয়ে ভারত। রিমোট সেনসিং স্যাটেলাইট তৈরিতে বিশ্বে এক নম্বর স্থানে ভারত। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প সারা বিশ্বে ঈর্ষনীয়। কৃষির দিক থেকেও পিছিয়ে নেই ভারত। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উত্পাদক আমাদের দেশ। ধানের দিক দিয়েও বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তাই ভারতকে পিছিয়ে থাকা দেশ বলে ভাবার কোনও কারণ নেই বলে জানালেন তিনি।


ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "সৃষ্টিশীল ভাবনা, নির্ভীক মনোভাব ও পরিমিত ঝুঁকি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।" ১৯৬০ সালে ইসরোর শুরুর দিনে কীভাবে সীমিত পরিকাঠামোয় মহাকাশ গবেষণার কাজ শুরু হয়েছিল সে বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, "সেই সময় থেকে প্রযুক্তির দিক থেকে ভারতের বিপুল উন্নতি হয়েছে। বদলে গিয়েছে দেশ।"


আরও পড়ুন - পিএফের আওতায় আসছেন গাড়ি চালক থেকে বাড়ির পরিচারিকারাও!


ভারতের মহাকাশ অভিযানের জনক ডঃ বিক্রম সারাভাইয়ের অবদানের কথাও স্মরণ করেন ডঃ শিবন। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "সেই সময়ে সবাই রকেটকে যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করার কথা ভাবতেন। এমন সময়ে দাঁড়িয়ে মহাকাশ অভিযানের মতো উদ্ভাবনী কাজে রকেট ব্যবহারে জোর দেন ডঃ সারাভাই।" ডঃ শিবনের মতে, সেই সময় থেকে মহাকাশ গবেষণায় কাজ করার সুফলই আজ ভোগ করছে ভারত।