নিজস্ব প্রতিবেদন: নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডি। রবিবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তিনি মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। ফলে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে এই সাক্ষাত্ ঘিরে তৈরি হল নতুন জল্পনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গত বৃহস্পতিবার সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৪ সালের থেকেও আরও বেশি জন সমর্থন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা ধরে রেখেছেন নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নায়ডুকে উড়িয়ে দিয়ে নতুন শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে জগনের দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি।


আরও পড়ুন: সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করলেন মোদী


খুব শীঘ্রই জগন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। আর নরেন্দ্র মোদীও দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারই মাঝে অন্ধ্রের এই তরুণ তুর্কি ও গেরুয়া শিবিরের এক নম্বর নেতা মুখোমুখি হলেন।


ফলে তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হল, তা নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে দু’টি ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। একটা অংশের মতে, জগন মূলত অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার কথা মোদীকে স্মরণ করিয়ে দিতে হাজির হয়েছেন। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে সরব হয়েছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। এবার সেই দাবিতে সরব হতে চান জগন।


আরও পড়ুন: দেশের মানুষ ভগবান! নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের 'রং' না দেখে কাজ করার ডাক মোদীর


জগনের দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে আগে জানানো হয়েছিল যে নতুন সাংসদদের সংসদে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে সরব হতে বলেছেন জগন। এর জন কঠোর পরিশ্রমের বার্তাও দিয়েছেন তিনি।


তবে রাজনৈতিক মহলের অন্য একটি অংশের মতে, জগন বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা বাড়াতে চাইছেন। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে জগনকে লোকসভায় প্রয়োজন নেই বিজেপির। কিন্তু রাজ্যসভায় প্রয়োজন রয়েছে। সেটা বুঝেই জগন কেন্দ্রীয় সরকারকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের পথে হাঁটতে পারেন। মোদীর সঙ্গে সেই বিষয়েই তাঁর কথা হয়েছে বলে অনেকের অনুমান।



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হন জগন। সেখানে তিনি স্পষ্ট জানান যে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ মর্যাদার দাবিতে তিনি লড়াই চালাবেন। বারবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। একই সঙ্গে বিজেপি এত আসন পাওয়ায় তাঁর গলায় আক্ষেপও ঝরে পড়েছে।



জগনের কথায়, “বিজেপি ২৫০-র কম আসন পেলে, আমাদের সমর্থন প্রয়োজন পড়ত। তখন বিশেষ মর্যাদা আদায় করে তবেই সমর্থন দিতাম। এখন তো ওদের আমাদের সমর্থন প্রয়োজন নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমাদের অবস্থা জানালাম।”