নিজস্ব প্রতিবেদন: ইয়েস ব্যাঙ্কের আর্থিক সংকটে চাপে পড়ে দিয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ওই ব্যাঙ্কে জগন্নাথ দেবের নামে জমা রয়েছে ৫৪৫ কোটি টাকার আমানত। Yes Bank থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে আরবিআই। তার জেরে এখন মাথায় হাত মন্দির কর্তৃপক্ষের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরবিআই-এর নির্দেশিকার জেরে জগন্নাথ ভক্তরা আশঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে জানান  দৈতাপতি বিনায়ক দাসমহাপাত্র। তাঁর কথায়,''আমরা তদন্ত দাবি করছি। বেসরকারি ব্যাঙ্কে টাকা রাখাটা উচিত হয়নি। দোষী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হোক।''


জগন্নাথ সেনার আহ্বায়ক প্রিয়দর্শী পাটনায়েক বলেন,''বেসরকারি ব্যাঙ্কে জগন্নাথ দেবের আমানত রাখা বেআইনি। এজন্য দায়ী শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসত ও মন্দির পরিচালনা কমিটি। তদন্তের দাবিতে পুলিসে অভিযোগ করা হয়েছে।'' ওডিশার আইনমন্ত্রী প্রতাপ জেনা আশ্বস্ত করে বলেছেন,''টাকা মেয়াদি আমানতে জমা রাখা হয়েছিল। সেভিংস অ্যাকাউন্টে নেই। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ওই ফিক্সড ডিপোজিট সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।''           


বিশাল অঙ্কের অনাদায়ী ঋণ ও তহবিলে টান। এক বছরেও হাল না ফেরায় কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে ইয়েস ব্যাঙ্ক নিয়ে পদক্ষেপ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ৩রা এপ্রিলের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। যার ফলে সমস্যায় ব্যাঙ্কের প্রায় ২৯ লক্ষ গ্রাহক যাঁদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত ইয়েস ব্যাঙ্ক কোনও ঋণ দিতেও পারবে না। ব্যাঙ্কের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে, স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএফও প্রশান্ত কুমারকে প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে। 


শুক্রবার বাজার খুলতেই ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম ৮৫% পড়ে যায়। সেনসেক্স ও নিফটিও প্রায় দেড় হাজার ও সাড়ে চারশো পয়েন্ট নীচে নেমে আসে।  তবে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর আশ্বাসের পর বাজার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ায়। ইয়েস ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল ওয়ালেট, ই-কমার্স এবং ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির পরিষেবাও বড় আকারে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা।


আরও পড়ুন- আর মিস হবে না ভবতারিণীর সন্ধ্যারতি, পুজোর আগেই মেট্রোয় জুড়ছে দক্ষিণেশ্বর