নিজস্ব প্রতিবেদন: চাপা উত্তেজনা উপত্যকায়। আশঙ্কা আসলে কী নিয়ে, ধন্দে রয়েছেন খোদ জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকরা। গতকাল জঙ্গি হামলা হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে সেনা। তার ওপর সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা। গত এক সপ্তাহে প্রায় ২৫ হাজার আধা সেনা পাঠিয়ে কেন্দ্রের যে অতি তত্পরতা দেখিয়েছে তাতেই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। এমতাবস্থায়, রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে শান্ত এবং গুজবে কান না দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গতকাল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি, শাহ ফয়জ়ল, সজ্জদ লোন, ইমরান আনসারি-সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতারা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, ৩৫-এ অনুচ্ছেদ প্রয়োগে এই মুহূর্তে সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে কিনা। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের প্রশ্ন খারিজ করে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাড়ানোর পিছনে এমন কোনও অভিসন্ধি নেই। তাঁদের গুজবে কান না দেওয়ার বার্তা দেন রাজ্যপাল।


গতকাল সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিস যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জানায়, বড়সড় হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা। এর পিছনে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে পাক সেনার। অমরনাথ যাত্রা রুটে পাওয়া গিয়েছে ল্যান্ডমাইন এবং পাক সেনার ব্যবহৃত টেলিস্কোপ যুক্ত এম-২৪ স্নাইপার রাইফেল। এর পরই তড়িঘড়ি পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের ফিরে আসার জন্য ‘অ্যাডভাইজ়রি’ জারি করা হয় রাজ্য প্রশাসনের তরফে। আগামী ১৫ অগস্ট শেষ হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। কিন্তু তার আগেই এভাবে তড়িঘড়ি উপত্যকা খালি করার নির্দেশে আতঙ্ক তৈরি হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।


আরও পড়ুন- পাসপোর্ট নেই; তুতিকোরিনে এসে আটক মালদ্বীপের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি, ফেরত পাঠাল ভারত


সন্ধে থেকেই কাশ্মীর উপত্যকায় থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগের থেকে টাকা তুলে রাখতে দীর্ঘ লাইন পড়েছে বিভিন্ন এটিএম-এ। পেট্রোল, ওষুধও মজুত করে রাখছেন স্থানীয়রা।  উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কড়া পদক্ষেপ করতে গতকাল সংসদে সন্ত্রাস বিরোধী ইউএপিএ সংশোধনী বিল পাস করায় কেন্দ্র। এই আইনে এবার সন্ত্রাসে জড়িত বা প্ররোচনায় দেওয়ায় কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি তকমা দিয়ে গ্রেফতার করতে জাতীয় তদন্তকারীরা। এই বিলের বিরোধিতা করে বিরোধীরা জানায়, এই আইন বিপজ্জনক এবং অসংবিধানিক। এই আইনের অপব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিরোধীরা।