সংবাদ সংস্থা: জয়ললিতার প্রথম ডাক্তারি রিপোর্ট বলছে, তিনি প্রায়ই নিদ্রাচ্ছন্ন থাকতেন। শ্বাসকষ্ট ছিল। তবে, কথা বলতে পারতেন। ২০১৬-র ২২ সেপ্টেম্বর চেন্নাই-এর অ্যাপেলো হাসপাতালে যখন জয়ললিতাকে নিয়ে আসা হয়, সেই সময়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার বর্ণনায় এমনটাই বলা হয়েছে প্রথম মেডিক্যাল রিপোর্টে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। আরও জানা গিয়েছে, ওই সময় ‘আম্মা’র নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল।  পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ এবং ব্লাডসুগার, পালস রেটও ছিল অধিকমাত্রায়। জয়ললিতার মৃত্যু বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় মুখ খুলতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জয়ললিতার শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োজিত ব্রিটিশ চিকিত্সক রিচার্ড বেইল যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন, তার অধিকাংশই মিলছে অ্যাপেলো হাসাপাতালের এই প্রথম রিপোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা গেল অটল বিহারীর


দীর্ঘ রোগভোগের পর গত বছর ৫ ডিসেম্বর অ্যাপেলো হাসপাতালে মারা যান জয়ললিতা। সময় যত গড়ায়, রহস্য ঘণীভূত হতে থাকে আম্মার মৃত্যু ঘিরে। যতদিন জয়ললিতা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন  তাঁকে বাইরের দুনিয়া থেকে সারাক্ষণ আগলে রেখেছিলেন শশিকলা। এআইডিএমকের সুপ্রিমোর সঙ্গে সাক্ষাত্ করার অনুমতি ছিল না  দলের শীর্ষ নেতাদেরও। এমনকী আত্মীয় পরিজনরাও ব্রাত্য ছিলেন। কিন্তু সে সময় দলের তরফে বারংবার বলা হয়েছিল, সুস্থ রয়েছেন আম্মা এবং প্রয়োজনে  আম্মার সঙ্গে দেখাও করেছেন দলীয় কর্মীরা। এমনকী তিনি ফাইলপত্রতেও সই করেছেন।


আরও পড়ুন- দেশের প্রথম গো- অভয়ারণ্য তৈরি হল চৌহানের রাজ্যে


আজ একেবারে উল্টো সুরে গাইছেন এআইডিএমকের বেশিরভাগ নেতা। তখন নাকি জোর করে এসব কথা বলানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। পন্নির-পালানি জোড়া লাগতেই জয়ললিতার মৃত্যুর তদন্ত কমিশন বসানো হয়। এই তদন্তের নেতৃত্বে থাকা  হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরুমুগাস্বামীকে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে তিন মাস সময় দেওয়া হয়। অন্যদিকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিরোধী দল ডিএমকে।