নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের এখনও বাকি কয়েক মাস! তার আগে বিহারে শরিকি চাপ হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে বিজেপি। বিজেপির শরিক নীতীশ কুমারের জেডিইউ-র জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগে দলের নেতা কেসি ত্যাগীর স্পষ্ট বার্তা, আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে দাদার সম্মান দিতে জেডিইউ-কে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আর এক জেডিইউ নেতা শ্যাম রজকের কথায়, ''বিহারে জেডিইউ-ই দাদা। নীতীশ কুমার কাজও অনেক করেছেন। তাঁর কাজ প্রচার করলে ভাল ফল হবে বিজেপির।'' এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও জেডিইউ স্পষ্ট করেছে, বিহারে এনডিএ জোটের নেতৃত্ব থাকবে তারা, আর দেশে বিজেপি। এই সূত্রেই আসন রফা করতে হবে। আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরার পর সদ্য উপ-নির্বাচনে হারের মুখ দেখেছেন নীতীশ কুমার। হঠাত্ করে নোট বাতিল নিয়ে বেসুরো গেয়েছেন। বিপক্ষ শিবির আরজেডি-র তেজস্বী যাদবের দাবি, ''বিজেপির সঙ্গে ঘর করতে পারছেন না নীতীশ কাকা। তবে মহাজোটের দরজা ওনার জন্য বন্ধ।'' 


বিহারে শুধু জেডিইউ নয়, এলজেপি-র প্রধান রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলেকে মহাজোটে যোগদান নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও তেমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন রামবিলাস। কিন্তু রামবিলাসের যা অতীত, তাতে তাঁর কথা কতখানি ভরসাযোগ্য তা বিজেপি নেতৃত্বও ভাল জানেন। আরএলএসপি-র উপেন্দ্র কুশওয়া আবার জোটের ইফতার দাওয়াতে গরহাজির থেকেছেন। 


৪০টি আসনের বিহার লোকসভায় ২০১৪ সালে ২২টি আসন জিতেছিল বিজেপি। এবং শরিক এলজেপি ৬টি ও আরএলএসপি ৩টি আসন। সেবার এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে নীতীশের জেডিইউ পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। এই অঙ্কে বিজেপির ২২টি আসন ধরে রাখা উচিত। কিন্তু জোট বাঁচাতে গেলে আপোষ করতেই হবে। সেক্ষেত্রে আসন বণ্টন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে একপ্রস্ত বিবাদ যে অবশ্যসম্ভাবী তা মানছে রাজনৈতিক মহল। বিহারে কীভাবে শরিকদের আবদার সামলে জোট অক্ষুণ্ণ রাখাই মোদী-শাহের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।  


আরও পড়ুন- জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপিকে ভাঙিয়ে সরকার গড়তে পারে বিজেপি