নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ডেও ধরাশায়ী বিজেপি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনআরসি-নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দল যখন ব্যাস্ত তখনই ধাক্কা দিয়ে গেল ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ফল।  ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে স্পষ্ট লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির যে ভিত ছিল তার কোনও কাজ দিল না বিধানসভায়।  লোকসভায় ১৪ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ১১ আসন।


আরও পড়ুন-737 Max বিপর্যয় থেকে উদ্ধার পেতে CEO ডেনিস মুলেনবার্গকে সরিয়ে দিল Boeing


৮১ আসনের বিধানসভায় বিজেপি শেষপর্যন্ত পেয়েছে ২৫ আসন। কংগ্রেস ১৬, জেএমএম পেয়েছে ৩০ আসন।  জোটসঙ্গী আরজেডি পেয়েছে ১টি আসন। অন্যদিকে, যারা শেষপর্যন্ত বিজেপির উদ্ধারকারী  হয়ে উঠতে পারতো সেই অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন পেয়েছে মাত্র ২ আসন, ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা পেয়েছে ৩ আসন। অন্যান্যরা ৪ আসন।




কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হেমন্ত সোরেন দুমকা ও বারহাইত আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে নিজের আসন বাঁচাতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস।  হেরেছেন নির্দল প্রার্থী সরয়ূ রাইয়ের কাছে। জোটের এই জয়কে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।  বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে ৯ বার  এসেছিলেন মোদী। পাশাপাশি ৯ বার এসেছিলেন অমিত শাহ। কোনও কিছুই কাজ দিল না। বরং বিজেপিকে ডোবাল রাজ্যের ভূমি আইন ও নাগরিকত্ব আইন।  এমনটাই অভিমত রাজনৈতিক মহলের।



আরও পড়ুন-হাইকোর্টে মামলার জেরে CAA বিরোধিতায় খানিক পিছু হঠল রাজ্য সরকার


২০১৩-২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত সোরেন।  এবার তিনি বসছেন ঝাড়খণ্ডের গদিতে। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর হেমন্ত সোরেন বলেন, ঝাড়খণ্ডের মানুষ আমাদের পক্ষে জানাদেশ দিয়েছেন।  রাজ্যের ইতিহাসে নতুন এক মাইল স্টোন তৈরি হল।  একটি নতুন অধ্যায়েরও সূচনা হল।  যে কারণ ঝাড়খণ্ড তৈরি হয়ছিল তা পূরণ করার সময় এসে গিয়েছে।