Jharkhand MLAs Arrested: ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার চক্রান্ত! হাওড়ায় ৩ বিধায়ক গ্রেফতারে জড়াল হিমন্ত বিশ্বশর্মার নাম
ঝাড়খণ্ডের বারমো কেন্দ্রের বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল সিং অভিযোগ করেছেন, হাওড়ায় ধৃত ৩ কংগ্রেস বিধায়ক তাঁকে কলকাতায় যেতে বলেছিলেন। ওদের পরিকল্পনা ছিল আমাকে অসমে নিয়ে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে
পিয়ালি মিত্র: সরকার ফেলতেই দেওয়া হয়েছিল টাকার টোপ। হাওড়ার পাঁচলায় বিপুল টাকা-সহ ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক গ্রেফতার হওয়ার পর এমনই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। ঝাড়খণ্ডের আরগোরা থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল সিং। অভিযোগের তির একেবারে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে। ওই তিন বিধায়ক আটকের পরপরই এরকমই অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, শনিবার হাওড়ার পাঁচলায় ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়কের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ লাখ টাকা। সেই ঘটনার পর রবিবার ঝাড়খণ্ডের ওই ৩ বিধায়ককে গ্রেফতার করল হাওড়া পুলিস। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর কংগ্রেস ৩ বিধায়ক রাজেশ কাশ্যপ, নমন দীক্ষিত ও ইরফান আনসারিকে গ্রেফতার করেছে পাঁচলা থানার পুলিস। ওই ৩ কংগ্রেস বিধায়কের দাবি ছিল বড়বাজারে শাড়ি কেনার জন্য ওই টাকা আনা হয়েছিল। কিন্তু ওই দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি বিধায়করা। ওই ৩ বিধায়ককে ইতিমধ্য়েই সাসপেন্ড করেছে ঝাড়খণ্ড কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, শুক্রবার তাঁরা কলকাতায় এসেছিলেন। পুলিসের কাছে বিধায়করা জানিয়েছে, বড়বাজার থেকে শাড়ি কেনার জন্যে টাকা নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই শাড়ি আদিবাসী দিবস উপলক্ষে ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ অঞ্চলে বিলি করার কথা ছিল। এদিন তাঁরা পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমনির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন, তখনই আটক করা হয় গাড়িটি।
এদিকে গোটা ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের বারমো কেন্দ্রের বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল সিং। তিনি রাঁচির আরগোরা থানায় এক অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ৩ বিধায়কের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন, হাওড়ায় ধৃত ৩ কংগ্রেস বিধায়ক তাঁকে কলকাতায় যেতে বলেছিলেন। ওদের পরিকল্পনা ছিল আমাকে অসমে নিয়ে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে।
কুমার জয়মঙ্গল সিংয়ের অভিযোগ, বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে যে জোট সরকার রয়েছে সেই সরকারকে উত্খাত করার পরিকল্পনা করেছিল ওই ৩ বিধায়ক। এর জন্য প্রত্যেক বিধায়ককে ১০ কোটি টাকা অফার করা হচ্ছে। পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রিত্বের টোপও। সেই টোপ তাঁকেও দেওয়া হয়। ওই তিনজন বলেছিলেন কলকাতায় আসতে। সেখানে থেকে সবাই মিলে অসমে গিয়ে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়া হবে। নতুন সরকার গঠন হলে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে। ওই ধরনের অনৈতিক কাজ করতে তিনি চাননি তাই পুলিসে অভিযোগ করেছেন। সরকার ফেলার পরিকল্পনা করার জন্য ইতিমধ্য়েই কিছু টাকা ওই ৩ বিধায়ক পেয়েছেন। কলকাতায় ডাকা হয়েছিল টোকেন মানি দেওয়ার জন্য।
এনিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রে পালাবদলের সময়ে গুয়াহাটিতে চলে গিয়েছিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা। সেই সময়ে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ তোলা হচ্ছিল ঘোড়া কেনাবেচার মূল ডিলটি করছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ঝাড়খণ্ডের আরগোরা থানায় যে অভিযোগ জমা পড়েছে সেখানেও রয়েছে হিমন্ত বিশ্বশর্মার নাম। অভিযোগ উঠছে ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন হিমন্ত। এদিকে, এনিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনিই ২ দিন আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। বাইশ বছর কংগ্রেস করার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ করেছে। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তবে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।
আরও পড়ুন-ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স, পাকিস্তানকে হেলায় হারাল ভারত