নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরের রাজনীতিতে চাঞ্চল্যকর মোড়। অল পার্টি হুরিয়ত কন্ফারেন্স ছাড়লেন উপত্যকার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আলি শাহ গিলানি।  কাশ্মীরের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এই সংগঠনটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ঢাকার শ্যামবাজারে ফেরি দুর্ঘটনা; বুড়িগঙ্গায় তলিয়ে গেল লঞ্চ, মৃত ৩০  


হুরিয়তের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অল পার্টি হুরিয়ত কন্ফারেন্সের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি শাহ গিলানি জানিয়েছেন, কন্ফারেন্সের সঙ্গে সব সম্পর্ক তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, হুরিয়তের প্রত্যেক সদস্যের কাছে তিনি চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, হুরিয়তের বর্তমান যা অবস্থা তাতে তিনি দলে আর থাকতে চান না।


গিলানি নিজে এক অডিও মেসেজে জানিয়েছেন, বর্তমানে হুরিয়তের যা কার্যকলাপ তাতে এই সংগঠন ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি। এনিয়ে আমি চিঠিও লিখেছি হুরিয়ত সদস্যদের কাছে।


একটি ২ পাতার চিঠি লিখেছেন গিলানি। সেখানে তাঁর বক্তব্য, উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বিলোপের পর হুরিয়ত নিষ্কৃয় হয়ে পড়েছে। এনিয়ে কী পদক্ষেপ করা যায় তা আমি বহুবার বলেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। এবার এর দায়িত্ব আপনাদের ওপরে।


প্রসঙ্গত, ওই চিঠিতে দলে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রও হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গিলানি। এমনকি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দলের সদস্যদেরও তিনি কাঠগড়ায় তুলেছেন। পাশাপাশি গিলানির অভিযোগ, কাশ্মীরের নেতারাও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত।


আরও পড়ুন-৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু! আক্রান্ত ১ কোটি, কোভিড হানায় জর্জরিত বিশ্ব


উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে গৃহবন্দি রয়েছেন হুরিয়ত প্রধান গিলানি। তাঁর নিজের একটি দল রয়েছে। তেহরিক হুরিয়ত কন্ফারেন্স নামের ওই দলের বর্তমান প্রধান মহম্মদ আশরাফ সেহারি। এই আশরাফ সেহারির ছেল জুনেইদ সেহারি হিজবুল মুজাহিদিনের একজন শীর্ষ নেতা ছিলেন।  শ্রীনগরে এক এনকাউন্টারে তার মৃত্যু হয়।


কাশ্মীরের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী অন্দোলনকারী দলের জোট সংগঠন হল অল পার্টি হুরিয়ত কন্ফারেন্স। গিলানি কাশ্মীরের বিচ্ছিনতাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন ১৯৯০ সাল থেকে। হুরিয়তের আজীবন চেয়ারম্যানও ছিলেন।