ওয়েব ডেস্ক: গ্রাম না বলে নাগলোকই বলা যায় কানপুরের কাছের গ্রাম জোগি ডেরাকে। যুগযুগ ধরে এ গ্রামের সব বাসিন্দারই অন্যতম পেশা সাপ খেলা দেখানো। তবে সরকারি নির্দেশে সাপ খেলা এখন নিষিদ্ধ। এর পর কী করে কাটবে জীবন? দুশ্চিন্তা গ্রামজুড়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জোগি ডেরা। সাতপুরুষের সাপুড়েদের গ্রাম। খেলার ছলে এ গ্রামের কচিকাঁচারাও দিব্বি সাপ ধরে ফেলে। সকলেই জানেন কমবেশি সাপের খেলা। বন বাদার থেকে সাপ ধরে আনা, তারপর সেই সাপকে খেলা দেখানোর উপযুক্ত করে তোলা। এটাই এই গ্রামের বাসিন্দাদের প্রধান কাজ। বাড়িতে সাপ ঢুকলেও অনেক সময় বিপত্তারণ হয়ে দাঁড়ান এই সাপুড়েরাই।


অভিনব মুকুন্দকে নিয়ে নানা রসিকতা সোশ্যাল মিডিয়ায়


বছর পয়ষট্টির বুটি নাথ সেই ছেলে বেলা থেকে সাপের খেলা দেখাচ্ছেন। তবে দারিদ্র কাটেনি। দুঃখ সেই একটাই। বছর কুড়ি আগেও মাঠে ঘাটে খেলা দেখিয়ে বেড়াতেন বুটি নাথেরা। তবে এখন লোকে আর সাপের খেলা দেখে কই? সংসার চালাতে কেউকেউ শহরে গিয়ে অন্য কাজ নিচ্ছে ন ঠিকই। তবে সেখানেও কাজ জুটছে কোথায়? সেই ছ বছর বয়সে লেখাপড়া ছেড়ে বাবার সঙ্গে সাপের খেলা দেখাতে শুরু করেছিল কুলদীপ। এখন তাঁরও মনে হয় যদি পড়াশুনা করত, তাহলে একটু হলেওতো উন্নতি হত জীবনের।


সাপের খেলা দেখিয়ে কোনও দিন দুপয়সা জোটে বটে, তবে তাতে সংসার চলে না। উনিশশ একানব্বই থেকে দেশে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে সাপের খেলা। পশুপ্রেমীরাও এর বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন। প্রশ্ন একটাই, কেন জেনে শুনেও এমন বেআইনি কাজ করে চলেছেন এই সাপুড়েরা।


মাত্র ৩ মিনিটেই শিখে নিন কীভাবে বানাবেন ‘মটর পনীর’


আসলে আইন আছে আইনে জায়গায়। সেই আইনকে বাস্তবে পরিণত করতে গেলে দরকার ছিল পূনর্বাসনের। সেই সুযোগ এখনও পাননি জোগি ডেরার মানুষ। তাদের দিন কাটছে সুদিনের অপেক্ষায়।