নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বিচারপতি রঞ্জন গগোই। সূত্রের খবর, আইন মন্ত্রকের কাছে তাঁর নামই সুপারিশ করতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। তার যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে বলেও খবর। সম্ভবত সোমবার আইন মন্ত্রকের কাছে পৌঁছবে এই সুপারিশপত্র। মনে করা হচ্ছে, আগামী ৩ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি পদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন ৬২ বছর বয়সী বিচারপতি রঞ্জন গগোই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 'ষড়যন্ত্রে'র জবাব দিতে বাম ছেড়ে রামে সিপিএমের প্রবীণ নেতা


চলতি বছরের ২ অক্টোবরে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের কার্যকাল শেষ হবে। তাঁর জায়গা পরবর্তী  প্রধান বিচারপতি কে হবেন এই নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছিল।  পরবর্তী  প্রধান বিচারপতি হওয়ার জন্য অভিজ্ঞতার নিরিখে এগিয়ে ছিলেন রঞ্জন গগোই। ২০১২ সালে ২৩ এপ্রিল তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন বিচারপতি গগোই। এর আগে পঞ্জাব ও হরিয়ানার হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি ছিলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশব চন্দ্র গগোইয়ের পুত্র।


আরও পড়ুন- ‘মোদী আকাশের সমান, রাহুল নর্দমার কীট’


সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম প্রস্তাবের জন্য বিচারপতি দীপক মিশ্রকে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী, অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকায় বিচারপতি রঞ্জন গগোইয়ের নাম চূড়ান্ত করা হয়। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের নিয়ম অনুযায়ী, সব থেকে অভিজ্ঞ বিচারপতিই পদের দাবিদার। তাই, বিচারপতি রঞ্জন গগোইয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও জটিলতা তৈরি হওয়ার কারণ নেই বলে মনে করছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন- মোদীর মুখে হাসি ফুটিয়ে আয়কর দাখিল বাড়ল ৭১ শতাংশ


চলতি বছরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধীরা। যদিও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু তা পত্রপাঠ খারিজ করে দেন। এর আগে সুপ্রিম কোর্টেরই চার প্রবীণতম বিচারপতি সাংবাদিক বৈঠক করে দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ২০১৬ সালে কেরলের সৌম্য ধর্ষণ মামলায় শীর্ষ আদালতের রায়ের সমালোচনা করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু। সে সময় বিচারপতি রঞ্জন গগোইয়ের বেঞ্জ বিচারপতি কাটজুকে এজলাসে উপস্থিত হয়ে ওই মন্তব্যের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়। এছাড়া লোকপাল-লোকায়ূক্ত, সরকারি বিজ্ঞাপনে রাজনীতিকদের ছবি, অসমের এনআরসির মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলায়  অন্যতম বিচারপতি ছিলেন রঞ্জন গগোই।