নিজস্ব প্রতিবেদন: আত্মহত্যা নাকি খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ময়না তদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে গলায় ফাঁস লেগে শ্বাসরোধেই মৃত্যু হয়েছে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের। এরকম এক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্তের অনুরোধ করলেন বিজেপি নেতারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ডিউটি থেকে ফেরার সময় একবালপুরের কাছে মৃত্যু এক পুলিস কর্মীর


মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও সাংসদ রাজু সিং বিস্তা। রাষ্ট্রপতির  কাছে তাঁরা অনুরোধ করেন, দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করতে হবে। এনিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইতে হবে এবং বিধানসভা ভেঙে দিতে হবে।



এদিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, এই ধরনের খুনের ঘটনা প্রথম বাংলায় ঘটল না। এর আগে পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। এবার একজন বিধায়ক খুন হলেন। আমরা রাজ্য সরকারের কোনও তদন্ত সংস্থাকে বিশ্বাস করি  না। তাই রাষ্ট্রপতির কাছে সিবিআই তদন্তের অনুরোধ করেছি। বাংলার রাজ্যপালের কাছ থেকে এনিয়ে রিপোর্ট চাওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছি। বিজয়বর্গীয় আরও বলেন, খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই।
 
উল্লেখ্য, সোমবার উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ির কিছুটা দূরে বালিয়াদিঘি মোড় এলাকায় একটি মোবাইল ফোনের দোকানের বারান্দা থেকে। পকেট থেকে পাওয়া যায় একটি সুইসাইড নোট। তাঁর মৃত্যুর জন্যে দায়ী কারা সেই নোটে লেখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান ছিল, আত্মঘাতীই হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের আদেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।


আরও পড়ুন-আত্মহত্যা না খুন? বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় প্রকাশ্যে এল ময়না তদন্তের রিপোর্ট


এদিকে, দেবেন্দ্রনাথ রায়ের পরিবার ওই মৃত্যু ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ। গভীর রাতে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় আজ দিনভর উত্তরবঙ্গ বনধ ডেকেছে বিজেপি নেতৃত্ব।