নিজস্ব প্রতিবেদন: ইস্তফার হিড়িক অব্যাহত। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া জানান, মোট ২১ মন্ত্রী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। বিধায়কদের হাতে রাখতে মন্ত্রিসভায় বড়সড় অদবদলের আশ্বাস তাঁর। এ দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, জোট সরকারের থাকা এক নির্দল বিধায়ক নগেশ-ও আজ সরে দাঁড়ালেন। রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে তিনি জানান, কুমারস্বামীর সরকারের উপর সমর্থন তুলে নিচ্ছেন। এবং বিজেপি সরকার গড়ার ডাক পেলে তিনি সমর্থন দেবেন বলে আশ্বাসও দেন। এর ফলে কার্যত সংখ্যালঘু হলে পড়ল কংগ্রেস-জেডিএস জোট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গতকালই আমেরিকা থেকে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়ক রামলিঙ্গ বিধায়কের সঙ্গে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন। তিনি এবং তাঁর কন্যা সৌম রেড্ডি কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ বিধায়ক। তবে তাঁরা মুম্বইয়ে যাননি বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার, ১৩ বিধায়ক স্পিকারের কাছে ইস্তফা দেন বলে খবর। এর মধ্যে ১০ বিধায়ক এই মুহূর্তে বিজেপির জিম্মায় মুম্বইয়ে একটি হোটেলে বন্দি রয়েছেন বলে কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ।


আরও পড়ুন- নির্মলার বাজেট পেশের পর ধস অব্যাহত শেয়ার বাজারে, আজও ৬০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স


আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিজেপি এই ঘটনায় কোনোওভাবে যুক্ত নয়। ঘোড়া কেনাবেচা কখনও করে না বিজেপি। পালটা সিদ্দিরামাইয়া টুইটে অভিযোগ, বিজেপি সরকারের ক্ষমতা অপব্যবহার করছে এবং এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেসের বিধায়কদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র রাজ্য বিজেপির নেতারা নন মদত রয়েছে স্বেচ্ছাচারী অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদী। তাঁরা দেশের প্রতারক বলে মন্তব্য করেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।


এই মুহূর্তে অঙ্ক:


জোট সরকারে বিধায়ক ছিল: কংগ্রেস- ৭৮, জেডিএস- ৩৭, বিএসপি-১, নির্দল- ২ (মোট- ১১৮)


** সোমবার কংগ্রেসের দুই বিধায়ক আনন্দ সিং এবং রমেশ জারকিহোলি ইস্তফা দেন।


** শনিবার কংগ্রেসের ৮ ও জেডিএস-এর ৩ বিধায়ক ইস্তফা দেন।


** আজ নির্দল বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পর মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৭।


** যদি কংগ্রেস ও জেডিএস-এর ১৩ বিধায়কের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয় তাহলে সংখ্যা দাঁড়াবে- (১১৭ -১৩) = ১০৪।


** ২২৪ আসনের বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৩। কিন্তু বিধায়কদের ইস্তফার পর সেটা দাঁড়াতে পারে ১০৬।


** বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৫ বিধায়ক। সেক্ষেত্র সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে কংগ্রেস-জেডিএস সরকার। স্বভাবতই সংখ্যার নিরিখে বিজেপি সরকার গড়ার ডার পেতে পারে। তবে, এই জল্পনার অবসান হবে আগামী ১২ জুলাইয়ে। এ দিন বসবে বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশন।