কর্ণাটকে টানটান উত্তেজনা, আস্থা ভোটের আগে দলের বিধায়কদের ওপরে হুইপ জারি কুমারস্বামীর
বিদ্রোহী বিধায়কদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি সংবাদমাধ্যমে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিধানসভায় যেতেও পারেন, আবার নাও পারেন ওই ১৫ বিদ্রোহী বিধায়ক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্ণাটকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাফ নির্দেশ, বিদ্রোহী বিধায়কদের কোনও ভাবেই আস্থা ভোটে বাধ্য করা যাবে না। তার পরেও জেডিএস বিধায়কদের ওপরে হুইপ জারি করলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী।
আরও পড়ুন-কোরান বিলি করতে হবে না রিচা ভারতীকে, রায়ের শর্ত প্রত্যাহার আদালতের
বৃহস্পতিবার কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভোট। তার আগেই বুধবার জেডিএস এর ৩৭ বিধায়কের ওপরে জারি হয়েছে দলের হুইপ। এদের মধ্যে রয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়ক নারায়ণ গৌড়া, গোপালাইয়া ও এস বিশ্বনাথ। বৃহস্পতিবার এদের বিধানসভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই কুমারস্বামী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দলের কোনও বিধায়ক আস্থা ভোটে উপস্থিত না থাকলে বা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো কোনও বিদ্রোহী বিধায়কদেই আস্থা ভোট দানে জোর করা যাবে না। পাশাপাশি ১৫ বিদ্রোহী বিধায়কের ভাগ্য কী হবে তা ঠিক করবেন স্পিকার কে আর রমেশ কুমার নিজেই। এনিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা যাবে না।
আরও পড়ুন-দেশবাসীর পাশে সরকার, কুলভূষণ-মামলায় রায়ের পর মনে করালেন মোদী
বিষয়টি নিয়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি সংবাদমাধ্যমে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিধানসভায় যেতেও পারেন, আবার নাও পারেন ওই ১৫ বিদ্রোহী বিধায়ক।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকে দলের বিরুদ্ধে হেঁটে ইস্তফা দিয়ে দেন কংগ্রেস ও জেডিএস এর ১৫ বিধায়ক। কিন্তু স্পিকার এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওইসব বিধায়করা। এখন ওইসব বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ করা হলে কর্ণাটকে কুমারস্বামী সরকারের পতন হতে পারে। জোটের ক্ষমতা ১১৮ থেকে কমে হবে ১০০। সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১১৩ থেকে নেমে ১০৫ হয়ে যাবে। বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৫ বিধায়ক। ২ নির্দল বিধায়ক তাদের সমর্থন করলে বিধায়ক সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১০৭। ফলে সরকার গঠনে বিজেপির সামনে কোনও বাধা থাকবে না।