ব্যুরো: মোদীর ওপর চাপ বাড়াতে এ বার বাজপেয়ির উদাহরণ টানলেন মুফতি। কাশ্মীরে শান্তির লক্ষ্যে হুরিয়ত-সহ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার দাবি জানালেন তিনি। PDP-BJP জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্নচিহ্ণের মধ্যেই আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছ-দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার উপত্যকায় খুলেছে স্কুল-কলেজ। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ায় কোনও বিরাম নেই। আজাদির স্লোগানে এবার শ্রীনগরের রাস্তায় স্কুল-কলেজের ছাত্রীরাও। 


জম্মু-কাশ্মীর পুলিস বলছে গত কয়েকমাসে প্রায় ৩০০ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাথর ছোঁড়ায় উস্কানি দেওয়া হয়। প্রতিটি গ্রুপের সদস্য সংখ্যা গড়ে ২৫০। ইন্টারনেট বন্ধ করে দিলেই পাথর ছোঁড়ার ঘটনা কমে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ধরনের ৯০% হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
 
কিন্তু, তারপরও পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। সোমবার, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার দাবি জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরনোর পর মেহবুবা মুফতির গলার স্বর ছিল বেশ চড়া। রাজনৈতিক মহল বলছে, BJP-র সঙ্গে জোট বাঁধায় কাশ্মীরে PDP-র গ্রহণযোগ্যতা কমছে। মেহবুবা মুফতির নিজের দলেও তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ। নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কিত জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী এখন কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। তিনি আলোচনার রাস্তা না খোলার দায় চাপাতে চাইছেন দিল্লির কাঁধে।


পাথর যাঁরা ছুঁড়ছেন বুলেটেই তাঁদের জবাব দিতে হবে। জম্মু-কাশ্মীরে BJP-র মন্ত্রী চন্দ্রপ্রকাশ গঙ্গার এই মন্তব্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। গবাদি পশু নিয়ে যাওয়ার সময় তালওয়াড়ায় একটি যাযাবর পরিবারকে স্বঘোষিত গোরক্ষকদের মারধরের ভিডিও সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত শুক্রবার এক মহিলা হাতজোড় করে রেহাই চাইলেও উর্দির সামনেই তাণ্ডব চলছে। আর এ সবের জেরে উপত্যকায় ক্ষোভের আগুন ক্রমশ বাড়ছে।