নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০১০ সালে আচমকা তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল কাশ্মীর। ভূস্বর্গের তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি আইকন হয়ে উঠেছিলেন। বাবা-মায়েরা ছেলে-মেয়েদের সামনে যে উদাহরণ তুলে ধরেছিলেন, তাঁর নাম শাহ ফয়জল। অশান্ত, দিকভ্রষ্ট কাশ্মীর ফয়জলের প্রতিভায় আশার আলো খুঁজেছিল। ২৬ বছর বয়সে আইএএস পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন শাহ ফয়জল। তাঁর প্রতিভার হাত ধরে কাশ্মীরে উত্তরণের আশা করেছিল ভূূস্বর্গের জনগণ। শাহ্ ফয়জলও স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়েছিলেন। কিন্তু ছন্দ কাটল আচমকা। ২০১০ আইএএস-এর টপার চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। চাকরি ছেড়ে তিনি এবার পা রাখলেন রাজনীতিতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  মিশেল মামাকে সুবিধা করতেই রাফাল চুক্তি বাতিল করে কংগ্রেস: মোদী


এর আগে কাশ্মীরের ইতিহাসে কেউ কখনও আইএএস পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান আদায় করতে পারেনি। শাহ ফয়জল ছিলেন প্রথম। স্বাভাবিকভাবেই ফয়জলের বিরল প্রতিভায় আস্থা রেখেছিল ভূস্বর্গের মানুষ ও সরকার। কাশ্মীরের আইএএস আমলা হিসাবে যোগ দেওয়ার পর বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। একটা সময় স্কলারশিপ পেয়ে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন ফয়জল। সেই প্রতিভাধর আমলাকে এবার হারাত চলেছে কাশ্মীর। চাকরি জীবন থেকে অব্যহতি নিয়ে রাজনীতিতে নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন তিনি। কারণ হিসাবে বলেছেন, ধর্ষণ নিয়ে সরব হওয়ার মাশুল গুণতে হল তাঁকে। 


আরও পড়ুন-  মহাজোটে যোগ দেবে না বিজেডি, নবীনের বার্তায় ব্যাকফুটে রাহুল!


ফয়জলের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এনেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। যদিও কোন দলের হয়ে রাজনীতির আঙিনায় পা রাখছেন ফয়জল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভূস্বর্গে গুঞ্জন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের হয়ে বারামুলা কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ধর্ষণের খবরে সরব হয়েছিলেন ফয়জল। একজন আইএএস আধিকারিকের সরকারবিরোধী কথাবার্তা ভাল চোখে নেয়নি দেশের আমলাতন্ত্র। তাঁর বিরুদ্ধে সার্ভিস রুল ভাঙার অভিযোগ আনা হয়। এমনকী, ফয়জলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, তখন থেকেই চাকরি ছাড়ার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন ফয়জল। আর সেই দুঃসময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স-এর নেতা ওমর আবদুল্লা।