১৪ দিন কিছু খেতে পারেনি সেই গর্ভবতী হাতি! মুখে, গলায় ছিল গভীর ক্ষত
মুখ ও গলায় গভীর ক্ষত থেকে সেপসিস হয়ে গিয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিদিন - ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল হাতিটি। খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে এসেছিল লোকালয়ে। সেটাই কাল হল। বিশ্বাসঘাতকতা করল মানুষ। আনারসের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে খাইয়ে দেওয়া হল। প্রবল বিস্ফোরণে হাতিটির মুখ,গলার বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। সেই যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছিল না হাতিটি। তাই স্থানীয় ভেল্লিয়ার নদীর জলে নেমে পড়েছিল সে। যদি কিছুটা যন্ত্রণা কমে! ওই নদীর জলেই শেষমেশ মারা যায় হাতিটি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলছে, ফুসফুসে জল ঢুকে মারা গিয়েছিল হাতিটি। কিন্তু সারা দেশের মানুষ এখন জানে, হাতিটির আসল খুনি মানুষ। নৃশংসভাবে তাকে খুন করেছে কেউ বা কারা। চোদ্দ দিন হাতিটি কিছু খেতে পারেনি। প্রবল যন্ত্রণায় ছটফট করেছে। এমনকী চোদ্দ দিন জলও পান করতে পারেনি হাতিটি। মুখ ও গলায় গভীর ক্ষত থেকে সেপসিস হয়ে গিয়েছিল।
বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বুনো শুয়োর তাড়াতে গুরে মোড়া বাজি রেখে দেওয়া হয়। ফেসবুকেই অনেকে লিখেছেন, বুনো শুয়োরের উৎপাত বন্ধ করতে তাদের বেঘোরে মারা হয় ওই এলাকায়। গুরে মোড়া বাজি খেয়ে চোয়াল ভেঙে যায় বুনো শুয়োরের। ওই অবস্থায় দিনের পর দিন যন্ত্রণায় ছটফট করে মারা যায় বুনো শুয়োর রা। অনেকেই নাকি চোয়াল ভাঙা বুনো শুয়োরকে ছটফট করতে দেখেছেন। হাতিটি ওই গুড়ে মোড়া বাজি খেয়ে ফেলেছে বলে মনে করছেন বন কর্মীরা। চলার পথে পায়ে ঠেকায় বাজি মুখে পুরে ফেলেছিল হাতিটি।।তারপর মুখের ভেতর বিস্ফোরন ঘটে। আর তাতেই মুখ ও গলার বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায় হাতিটির। পরে ময়না তদন্তে জানা যায় হাতিটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
আরও পড়ুন- "হাতিটির খুনিদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে," কেরলের তদন্তের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের
মুখে প্রবল যন্ত্রণা নিয়ে গ্রামের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় হাতিটি। তবু কোনও মানুষের দিকে তেড়ে আসেনি। এমনকী কোনও বাড়ি ভাঙচুর করেনি। কয়েকদিন লোকালয়ে ঘুরে নদীর জলে নেমে যায় হাতিটি। তারপর ওখানেই জলে মুখ ডুবিয়ে থাকে চোদ্দ দিন। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে। তারপর জলে ভেসে যায়। সেই সময় জল ঢুকে হাতিটির ফুসফুস অকেজো হয়ে যায়।