ওয়েব ডেস্ক: সরকারকে ফাঁকি দিয়ে কালো টাকার লেনদেন। এক কথায় যার নাম হাওয়ালা। কী ভাবে কাজ করে এই ব্যবস্থা? একবার দেখে নেওয়া যাক। হাওয়ালা। কালো টাকার অবৈধ লেনদেন। আরবিতে এই শব্দের মানে কোনও কিছু পাঠানো বা বিশ্বাস। চুরি-ডাকাতির ভয়ে অষ্টম শতাব্দীতে চিন থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত সিল্ক রুটে হাওয়ালার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন শুরু হয়। আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া এবং ভারতীয় উপ-মহাদেশে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে এড়িয়ে টাকা লেনদেনের অবৈধ সমান্তরাল ব্যবসাই হল হাওয়ালা। কালো টাকার কারবারি এবং হাওয়ালা অপারেটরদের পারস্পরিক বিশ্বাসই এই ব্যবসার ভিত্তি। হাওয়ালার মাধ্যমে একজনের কাছ থেকে অন্যজন টাকা পেলেও এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টাকা বয়ে নিয়ে যেতে হয় না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন নোট বিতর্কে বিরোধীদের কোণঠাসা করতে দ্বিমুখী কৌশল নিলেন প্রধানমন্ত্রী


ধরা যাক এক দেশ থেকে A অন্য দেশে B-কে টাকা পাঠাতে চাইছে। A সেই টাকা এবং একটি পাসওয়ার্ড তার কাছের হাওয়ালা অপারেটর X-কে দিয়ে দেবে। পাসওয়ার্ডটি জানিয়ে দেবে B-কেও। B যে দেশে রয়েছে সেই দেশের হাওয়ালা এজেন্ট M-কে এবার X ওই টাকা দিয়ে দিতে বলবে। জানিয়ে দেবে পাসওয়ার্ডও। B সেই পাসওয়ার্ড M-কে জানালেই টাকা পেয়ে যাবে। পরে কোনও সময়ে X ওই টাকা M-কে দিয়ে দেবে। লেনদেনের জন্য দু-জনেই একটা কমিশন পাবে। বর্তমানে হাওয়ালা লেনদেনের পদ্ধতি অনেক বিস্তৃত ও জটিল। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকেও প্রয়োজনে ব্যবহার করে এজেন্টরা। নয়ের দশকে হাওয়ালা অপারেটর জৈন ভাইদের ডায়রিতে রাজনৈতিক নেতাদের নাম আসায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। যদিও, আদালতে CBI উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করতে না পারায় প্রায় সকলেই ছাড়া পেয়ে যান।


আরও পড়ুন  পাঁচশোর নোটে ফাইনের টাকা নিতে অস্বীকার, আক্রান্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট