জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ, ২৬ নভেম্বর। ১৪ বছর আগের এই দিনেই ভারতে ঘটে গিয়েছিল শিরদাঁড়া-কাঁপানো সন্ত্রাস। ২০০৮-এর সেই সংঘাতে সন্ত্রাসীর আক্রমণে যাঁরা বেঘোরে মারা গিয়েছিলেন সেদিন এবং দেশের সম্মান রক্ষার জন্য আত্মাহুতি দিয়েছিলেন যে অমিতবিক্রমশালী মিলিটারি পার্সন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্ম। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরে আরবসাগরতীরে ঘটল এই সাংঘাতিক ঘটনা। ১০ জন লশকর-ই-তৈবা জঙ্গি সমুদ্রপথে পৌঁছল মুম্বই। চালাল গুলি। ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে বাধল সংঘাত। প্রায় ৬০ ঘণ্টার লড়াইয়ে ১৮ জন সিকিউরিটি পার্সোনেল-সহ সেদিন মারা গিয়েছিলেন মোট ১৬৬ জন সাধারণ মানুষ! গোটা দেশের শোকের আবহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Gujrat Election 2022: '২০০২ সালে দাঙ্গাবাজদের শিক্ষা দিয়েছি', নির্বাচনের আগে গুজরাটে বললেন অমিত শাহ


শুধু রাষ্ট্রপতিই নন, ২৬/১১-র মৃতদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রপতির মতো তিনিও ট্যুইট করেছেন।  তিনি শুধু দেশের শহিদ বা সন্ত্রাসের বলিদের জন্যই শোক প্রকাশ করেননি, পাশাপাশি, সারা পৃথিবীতে যেখানে যত মানুষ সন্ত্রসের বলি হয়েছেন তাঁদেরও স্মরণ করেছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি এ-ও ঘোষণা করেছেন, টেররিজমের সঙ্গে ভারত কোনও দিনই কোনও আপস করেনি, করবে না। মহারাষ্ট্র সরকার দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং সে রাজ্যর গভর্নর ভগত সিং কোশিয়ারি শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেছেন। 


২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরের সেই কালো দিনে তাজ মহল প্যালেস হোটেল পুরোপুরি চলে গিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীদের দখলে। এ ছাড়াও জঙ্গিরা সেদিন মুম্বইয়ের হাসপাতাল রেলওয়ে স্টেশন, জিউইশ সেন্টার এবং আরও দুটি লাক্সারি হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছিল। টানা ৬০ ঘণ্টা মানে প্রায় আড়াই দিনের এক রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পরে মুম্বই জঙ্গি-মুক্ত করা গিয়েছিল। ওই জঙ্গিদলের মধ্যে একমাত্র জীবিত অবস্থায় ধরা গিয়েছিল আজমল কাসভকে। ৪ বছর পরে ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)