নিজস্ব প্রতিবেদন- মোট ৮৯টি অ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল ভারতীয় সেনা। কিন্তু সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে সমস্যা হচ্ছিল এক সেনা কর্তার। ফেসবুক, ইনস্টার মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার এখন আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিকে চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সেনাবাহিনীর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এমন আবেদনের জন্য তাঁকে ভর্ত্সনা করল আদালত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদালতের তরফে জানানো হয়েছে,  দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য এই ৮৯টি অ্যাপ বন্ধের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেনাবাহিনীর কেউ এই অ্যাপ ব্যবহার করলে দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়ার ভয় থাকছে। বিশেষ করে চিনের সঙ্গে বিবাদের এই সময় সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে আরও বেশি সজাগ থাকেত হবে। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ৮৯টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সেনাবাহিনীতে কর্মরত প্রত্যেক সদস্যকে নিজেদের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিকে চৌধুরী দাবি করেছেন, অ্যাকউন্ট ডিলিট করলে তাঁর বন্ধুবিচ্ছেদ হবে। এবং যোগাযোগের ক্ষেত্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এটা তাঁর জীবনে বড় ক্ষতি। 


আরও পড়ুন-  ফিল্মি কায়দায় ডাকাতি! ১০ বছরের বাচ্চা ৩০ সেকেন্ডে ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব করল ১০ লাখ টাকা


তিনি আরও জানান, তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্য আমেরিকায় থাকেন। আর তিনি তাঁদের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করেন। ৬ জুন জারি করা এই নির্দেশ সংবিধানে থাকা বাকস্বাধীনতা ও গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে খর্ব করছে বলেও দাবি করেন তিনি। বিচারপতি রাজীব সাহাই এন্ডলা ও বিচারপতি আশা মেননের একটি বেঞ্চ তাঁকে জানিয়ে দেয়, হয় তাঁকে ফেসবুক ছাড়তে হবে না হলে চাকরি। যদিও তাঁর আবেদনের শুনানির জন্য ২১ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করেছে আদালত।