নিজস্ব প্রতিবেদন: নিষেধাজ্ঞার চাপে পড়ে রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা করলেন সপা নেতা আজম খান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রামপুরের এক সভায় তিনি দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে জঙ্গির মতো আচরণ করছে প্রশাসন। শুধু তাই নয় তাঁর সমর্থকদের ওপরেও নির্যাতন চালাচ্ছে আদিত্যনাথের পুলিস।



আরও পড়ুন-বহরমপুরে আমিই কংগ্রেস তৈরি করেছি, অধীরগড়ে দাঁড়িয়ে দাবি মমতার 


শুক্রবার রামপুরের এক সভায় আজম খান বলেন, ‘আমার সঙ্গে প্রশাসন এমন ব্যবহার করছে যেন মনে হয় আমি কোনও দেশদ্রোহী কিংবা কোনও কুখ্যাত জঙ্গি। ওদের হাতে যদি ক্ষমতা থাকতো তাহলে ওরা হয়তো আমাকে গুলি করে মারত।’ কর্মী সমর্থকদের সামনে ওইসব কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন অখিলেশ যাদবের বিশ্বস্ত সঙ্গী আজম খান।


আজম খানের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও কার্যকলাপের কথা মাথায় রেখে তাঁর ওপরে তিন দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে তিনি বলেন, ভোটের তিন দিন আগে আমার ওপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর উদ্দেশ্য বোঝা যায়। এই সময়ের মধ্যে আমি কোথাও যেতে পারব না, কারও সঙ্গে দেখা করতে পারব না। কোনও সভায় যেতে পারব না।


আরও পড়ুন-করণদিঘির মেলায় আচমকাই ভেঙে পড়ল নাগরদোলা; উল্টে গেল টয়ট্রেন, গুরুতর আহত ১৪


রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে আজম খান বলেন, প্রশাসন রাজ্যে সন্ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছে। আমার সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে তাদের মারধর করা হচ্ছে। বাড়ির মেয়েদর ওপরেও অত্যাচার চালানো হচ্ছে।


সম্প্রতি রামপুরের প্রাক্তন সাংসদ জয়াপ্রদা সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন আজম খান। গত ১৫ এপ্রিল এক সভায় তিনি বলেন, ওকে আমি রামপুরে এনেছিলাম। ওকে চিনতে মানুষের ১৭ বছর লেগে গেল। কিন্তু ওকে আমি ১৭ দিনেই চিনেছিলাম। ওর অন্তর্বাসের রঙও খাকি।


উল্লেখ্য, ওই মন্তব্যের পরই নির্বাচন কমিশন তার ওপরে ৩ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ১৬ এপ্রিল থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা লাগু হয়। তাঁকে নোটিসও দেয় জাতীয় মহিলা কমিশন।