নিজস্ব প্রতিবেদন: জোট না করলেও কংগ্রেসকে রায়বেরেলি ও অমেঠি ছেড়ে দিয়েছিল সপা-বসপা। রবিবার কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, তারাও ৭টি কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে না। ওই কেন্দ্রগুলিতে দাঁড়াচ্ছেন সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজনসমাজ পার্টির হেভিওয়েট নেতারা। জানা যাচ্ছে, মুলায়ম সিং যাদবের সম্ভাব্য কেন্দ্র মৌনপুরী, তাঁর পুত্রবধূ ডিম্পল যাদবের সম্ভাব্য কেন্দ্র কৌনজে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সূত্রে খবর, রাষ্ট্রীয় লোক দল অজিত সিং এবং জয়ন্ত চৌধরির সম্ভাব্য কেন্দ্রেও প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। পাশাপাশি মায়াবতীর হেভিওয়েট প্রার্থীদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। অর্থাত্ যে সব কেন্দ্রে সপা-বসপা জোট শক্তিশালী এমন ৭ জায়গায় প্রার্থী দেওয়া থেকে বিরত থাকছে কংগ্রেস।


কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার থেকেছেন বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী। আসন সমঝোতায় কংগ্রেসকে না রাখার কারণ হিসাবে মায়াবতীর ব্যাখ্যা ছিল, কংগ্রেসে সঙ্গে জোট করে কখনই লাভবান তো হয়নি, উলটে ডুবতে হয়েছে। পুরনো অভিজ্ঞতা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মায়াবতী। তবে, কংগ্রেসের দূর্গ রায়বেরেলি এবং অমেঠি-তে প্রার্থী না দেওয়ার কথা জানানো হয়। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ওই দুই আসন ছাড়ার পিছনে অখিলেশের ভূমিকা রয়েছে।


আরও পড়ুন- ভোটের বৈতরণী পেরতে গঙ্গা পথে নির্বাচনী প্রচার প্রিয়ঙ্কার


লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে নিয়ে না লড়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন মায়াবতী। কারণ, মধ্য প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থন দিলে বসপার বিধায়ককে মন্ত্রিত্ব দেননি রাহুল গান্ধী। সেই ক্ষোভও প্রকাশ্যে উগরে দেন তিনি। তবে, বরাবরই কংগ্রেসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পা ফেলছিলেন অখিলেশ। বিজেপি বিরোধী ভোট কাটার আশঙ্কায় রায়বেরেলি এবং অমেঠিতে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জরুরি ছিল। সপা-বসপার এই সৌজন্যবোধের ফল মিলল এ দিন হাতে নাতে। তাদের জন্য ৭টি আসন ছেড়ে দেয় কংগ্রেস। বিজেপির কটাক্ষ, লোক দেখানো জোট হচ্ছে। তলে তলে কংগ্রেস, সপা, বসপা একসঙ্গেই লড়ছে।