নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ৭ দফায় দেশে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে। একইসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট নেওয়া হবে দেশের ৪ রাজ্যে। ওইসব রাজ্যগুলি হল অন্ধ্রপ্রদেশ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ ও ওড়িশা। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে না জম্মু ও কাশ্মীরে। নিরাপত্তার কথা ভেবে সেখানে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'রমজানের ভোটের কথা বলে মুসলিমদের উসকাচ্ছে তৃণমূল


আগামী মে মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী এরপরই সেখানে সরকার গঠন করার কথা। ফলে রাজনৈতিক মহলের ধারনা ছিল লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই সেখানে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট নেওয়া হবে। কিন্তু মুখ্য নির্বাচন কমিশনার মনে করছেন, বাহিনী ও যানবাহনের অভাব, সদ্য ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনার কথা মাথায় রেখে জম্মু ও কাশ্মীরে শুধুমাত্র ৬টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হবে। রাজ্য প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেও ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছেন।



এদিকে এই সিদ্ধান্তের প্রবল সমালোচনা করেছেন, মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লা। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর জানিয়েছেন, ভারত বিরোধী শক্তির কাছে মাথা নত করেছেন মোদী। অন্যদিকে, অন্য এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দাবি, গোটা ব্যাপারটাই কেন্দ্রের চাল।




আরও পড়ুন-আপনার এলাকায় কবে ভোট? সাত দফায় রাজ্যের কোথায় কবে নির্বাচন? জেনে নিন   


মেহবুবা টুইট করেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত সরকারে একটা ষড়যন্ত্র। রাজ্যের মানুষকে সরকার গড়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে ওমর আবদুল্লার দাবি, ২০১৪ সালে কাশ্মীরে বিধ্বংসী বন্যা হওয়া সত্বেও লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল। সময়মতো বিধানসভা নির্বাচনও হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের পর থেকে এই প্রথম এরকম ঘটল। মোদীকে একজন শক্তিশালী নেতা বলার আগে ফের একবার ভাবতে হবে। মোদী সরকার ভারত বিরোধী শক্তির কাছে মাথা নত করেছে।