নিজস্ব প্রতিবেদন: সাত মণ তেল পুড়িয়েও রাধা নাচল না- লোকসভা ভোটের প্রথম দফার আগে মহাজোটের অবস্থাও খানিকটা সেরকমই। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের জন্য রায়বরেলি ও অমেঠি আসনটি ছেড়ে জোট করেছিল সপা-বসপা। পশ্চিমবঙ্গেও কংগ্রেসকে অতিরিক্ত সুবিধা দিতে নারাজ বামেরা। এরাজ্যেও একলা লড়াই করতে চলেছে তারা। বিহারেও কংগ্রেসকে অতিরিক্ত আসন ছাড়তে নারাজ আরজেডি। সে রাজ্যেও মহাজোটের গঙ্গাপ্রাপ্তি ঘটতে চলেছে বলে খবর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, বিহারে আরজেডি-র সঙ্গে জোটে আগ্রহী উপেন্দ্র কুশওয়া। গতবার এনডিএ জোটে ছিলেন তিনি। ৪০ আসনের বিহার বিধানসভায় ১১টি আসন চেয়ে অনড় কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্যে ক্ষয়িঞ্চু কংগ্রেসকে ৮টির বেশি আসন দিতে নারাজ আরজেডি। আরজেডি নেতা শিবানন্দ তিওয়ারির কথায়,''কীসের ভিত্তিতে ১১টি আসন চাইছে কংগ্রেস? নিজেদের অবস্থা বিবেচনা করে ওদের দাবি করা উচিত''। ওদিকে আবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝি দাবি করেছেন, কংগ্রেসের চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই তার দল। কংগ্রেসের অর্ধেক আসন প্রাপ্য তাঁর।


উত্তরপ্রদেশে জোটে লড়াই করছে সপা-বসপা ও আরএলডি। কংগ্রেসকে সঙ্গে নেননি বুয়া-ভাতিজা। তবে ৭টি আসন সপা-বসপা ছেড়ে রেখেছে রাহুল গান্ধীর দল। কিন্তু কংগ্রেসের ফাঁদে পা দেননি মায়াবতী। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে কোথাও তাঁর কোনও জোট নেই। কংগ্রেস চাইলে ৮০টি আসনেই প্রার্থী দিতে পারে। বিজেপিকে হারাতে সপা-বসপা-আরএলডি জোটই সক্ষম। মায়াবতীর সুরেই অখিলেশ যাদব জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করছে। 



পশ্চিমবঙ্গেও বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনার পর আলোচনা চালিয়েও সমাধানসূত্র মেলেনি। কংগ্রেসের অতিরিক্ত আবদার মানতে নারাজ বামেরা। প্রথমে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনটি নিয়ে জেদ ধরেছিল প্রদেশ কংগ্রেস। পরে আবার বসিরহাট ও পুরুলিয়া নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। শেষপর্যন্ত একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন সোমেন মিত্ররা। 




লোকসভা ভোটের আগে দিল্লিতে মহাজোটের নেতারা একত্রিত হয়ে বৈঠক করেছেন। কিন্তু সেই মহাজোট আদতে বাস্তবে রূপায়ন হল না। নির্বাচনী যুদ্ধে কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের পর সুবিধামত অবস্থান বদলাতে পারে ছোট দলগুলি। আর সে কারণেই কেউ কারও উপরে ভরসা করছে না। 


আরও পড়ুন- এসআই খুনে অভিযুক্ত গুরুং বিজেপির আশ্রয়ে! কার্যত স্বীকারোক্তি দিলীপের